সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞানীদের মতে, বৃহস্পতির মতো বিশাল একটি গ্রহকে এই নক্ষত্রটিক গ্রাস করার সময় গ্রহটির কিছু অংশ এদিক ওদিক ছিটকে ছড়িয়ে পড়ে, যা এখন বিভিন্ন পদার্থের আকারে পরিণত হয়েছে।

 

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যা মহাজাগতিক এক দৃশ্য দেখেছেন, তা জানলেই আপনি অবাক হবেন। আসলে, প্রথমবারের মতো, বিজ্ঞানীরা একটি এক দৈত্যাকার নক্ষত্র একটি বৃহস্পতির মত আকারের গ্রহকে গ্রাস করার ঘটনা চাক্ষুস করেছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, বৃহস্পতির মতো বিশাল একটি গ্রহকে এই নক্ষত্রটিক গ্রাস করার সময় গ্রহটির কিছু অংশ এদিক ওদিক ছিটকে ছড়িয়ে পড়ে, যা এখন বিভিন্ন পদার্থের আকারে পরিণত হয়েছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (সিআইটি) বিজ্ঞানীদের একটি দল এই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সূর্য যখন আগুনের লাল বলেতে পরিণত হবে তখন আমাদের পৃথিবীতে কী ঘটবে তার একটি বিষণ্ণ পূর্বাভাস। সে পৃথিবীর মত চারটি গ্রহকে গ্রাস করতে পারবে। এর অর্থ আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যতও কি তবে এমন হতে চলেছে!

বলা হচ্ছে যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন ঘটনার আগে এবং পরে অন্য নক্ষত্রদেরও দেখেছেন। নেচার ম্যাগাজিনে এই ঘটনা সম্পর্কিত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এমআইটির পোস্টডক্টরাল গবেষক এবং গবেষণার প্রধান লেখক কিশলয় দে সিএনএনকে বলেন যে তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছিলেন যে ভবিষ্যতে আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলিও সূর্যের সঙ্গে মিশে যাবে, তবে সেখানে ধরার সুযোগ থাকবে এবং এই ধরনের ঘটনা বুঝতে, এটি একটি বড় উদাহরণ।

এই নক্ষত্রটি আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এক সময় এই নক্ষত্রটি আমাদের সূর্যের আকারের ছিল এবং এর আলোও ছিল সূর্যের মতো। একটি আলোকবর্ষ হল সেই দূরত্ব যা একটি আলোক রশ্মি এক বছরে যেতে পারে, অর্থাৎ প্রায় ৯.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। এই নক্ষত্রটির বয়স দশ বিলিয়ন বছর, অর্থাৎ সূর্যের বয়সের প্রায় দ্বিগুণ।