সংক্ষিপ্ত
আশ্চর্য উপকারী গাজর! পাতে যোগ করলে দূরে থাকবে হাজার রোগ-ব্যধি
গাজর শীতকালে প্রচুর বিক্রি হয়, এই ঋতুতে স্যুপ, পুডিং, সবজি এবং রস আকারে মারাত্মকভাবে গাজর ব্যবহার করা হয়। গাজরে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন ও ফাইবার পুষ্টিকর উপকারিতা প্রদান করে। গাজর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি 8, ফোলেট, পটাসিয়াম, আয়রন, তামা এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ যা শরীরকে সুস্থ রাখে।
গাজরের উপকারিতা কি?
গাজরের প্রভাব পুরোপুরি গরম বা সম্পূর্ণ ঠান্ডা নয়। অর্থাৎ, এটি উভয় প্রভাব সহ একটি উদ্ভিজ্জ। আপনাদের জানিয়ে রাখি, যে গাজর কিছুটা মিষ্টি তা ঠান্ডা প্রকৃতির, আর গাজর যা সামান্য তেতো তা বেশি গরম। এটি একটি অ্যান্টি-ফ্লেগম। এতে রয়েছে নানা ধরনের মিনারেল ও ভিটামিন যা নানা রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে।
এসব মারাত্মক সমস্যায় গাজর খাওয়া উপকারী:
ক্যান্সার প্রতিরোধ: গাজরে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিনয়েড বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন গ্রহণ কোলন ক্যান্সারের বিকাশ রোধ করতেও সহায়তা করে।
আলো উজ্জ্বল করে: ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের ফটোরিসেপ্টরের বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চোখের ক্ষতি হয়। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে এবং এটি ভিটামিন এ এর ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের গাজর খাওয়া উচিত। এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড শরীরে ব্যবহৃত ইনসুলিন এবং গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
হজমে উপকারী: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। ফাইবারের কারণে মলের চলাচল মসৃণ হয়ে যায়। ফাইবার পেরিস্টালটিক গতি এবং গ্যাস্ট্রিক রসের নিঃসরণ বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গাজর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া গাজরে রয়েছে অনেক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: গাজরে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গাজরের তেল শুষ্ক এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ভাল কারণ এটি ত্বককে মসৃণ, নরম এবং দৃঢ় করে তোলে। গাজরের রস পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।