সংক্ষিপ্ত
হিন্দু ধর্মে পূজা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলিতে কোন ধাতুর পাত্র ব্যবহার করা উচিত এবং কোন ধাতু দেবতাদের অধিক প্রিয়, তাও বলা হয়েছে।
পূজার পাত্র কোন ধাতুর হওয়া উচিত: হিন্দু ধর্মে পূজা একটি অপরিহার্য আচার। পূজা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আছে। এই নিয়মগুলিতে কোন ধাতুর পাত্র ব্যবহার করা উচিত তাও বলা হয়েছে। সাধারণত মানুষ যেকোনো ধাতুর পাত্র ব্যবহার করে, যা উচিত নয়। জেনে নিন ধর্মশাস্ত্রে কী বলা হয়েছে…
এই ধাতুর পাত্রগুলি শুভ
উজ্জয়িনীর জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত প্রবীণ দ্বিবেদীর মতে, সোনা, রূপা, পিতল এবং তামার পাত্র ব্যবহার শুভ। ধর্মগ্রন্থ অনুসারে সোনা সর্বশ্রেষ্ঠ ধাতু, কিন্তু দেবতাদের অধিক প্রিয় তামা। বরাহ পুরাণ অনুসারে-
তत्ताম্রভাজনে মহ্ম দীয়তে যৎসুপুষ্কলম্।
অতুলা তেন মে প্রীতির্ভূমে জানীহি সুব্রতে।।
মাঙ্গল্যম্ চ পবিত্রং চ তাম্রনতেন্ প্রিয়ং মম।
এবং তাম্রং সমুৎপন্নমিতি মে রোচতে হি তৎ।
দীক্ষিতৈর্বৈ পদ্যার্ধ্যাদৌ চ দীয়তে।
অর্থ- তামা মঙ্গলময়, পবিত্র এবং ভগবানের অতি প্রিয়। তামার পাত্রে রেখে ভগবানকে যা अर्पণ করা হয়, তাতে ভগবান প্রসন্ন হন। তামার পাত্র পূজায় ব্যবহৃত ধাতু। তামার পাত্র দিয়ে সূর্যকে জল अर्पণ করার বিধান আছে। তামা সর্বতোভাবে মঙ্গলকারী এবং পবিত্র ধাতু।
কেন দেবতাদের প্রিয় তামা? জেনে নিন এই কাহিনী
কেন দেবতাদের অধিক প্রিয় তামা, তার একটি কাহিনী বরাহ পুরাণে পাওয়া যায়। গুড়াকেশ নামক এক রাক্ষস ছিলেন বিষ্ণুভক্ত। তিনি কঠোর তপস্যা করে ভগবান বিষ্ণুকে প্রসন্ন করে বর পেলেন, ‘আমার মৃত্যু আপনার সুদর্শন চক্র দ্বারা হোক এবং মৃত্যুর পর আমার দেহ তামা হয়ে যাক। জগতে সবচেয়ে পবিত্র ধাতু এটিই হোক এবং এই ধাতুর পাত্র দিয়ে দেবতাদের পূজা হোক।’ ভগবান বিষ্ণু রাক্ষস গুড়াকেশকে এই বর দেন এবং সুদর্শন চক্র দ্বারা তার বধ করেন। গুড়াকেশের দেহ তামায় পরিণত হয়। ভগবান বিষ্ণুর বর অনুসারেই তামাকে অত্যন্ত পবিত্র ধাতু মানা হয়।
Disclaimer
প্রদত্ত তথ্য জ্যোতিষীদের দ্বারা প্রদত্ত। আমরা কেবল এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবলমাত্র তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন।