সংক্ষিপ্ত

বাদাম খেলে ঠিক কী কী রোগ দূরে থাকবে জানেন? রইল সেই বড় তালিকা

আগে কাজু বাদাম, কাঠবাদাম বা অন্যান্য বাদাম খাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে অসাধ্য ছিল। তখন মানুষের কাছে এত টাকা-পয়সা ছিল না, উৎপাদনও বেশি হতো না। কিন্তু এখন সবচেয়ে বেশি ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে মধ্যবিত্তদের মধ্যে। বিশেষ করে শীতকালে মানুষ কাজু কাঠবাদাম খেয়ে থাকে। পুষ্টি সমৃদ্ধ পাওয়ার হাউস কাঠবাদাম শরীরকে ফিট রাখতে এবং অনেক রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, তবে কাঠবাদামের অতিরিক্ত ব্যবহারও অনেক সময় ক্ষতি করতে পারে। জেনে নিন বেশি বদন খেলে কী ক্ষতি হয় এবং ১ দিনে কয়টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত?

অ্যালার্জি- আপনার যদি কোনও ধরনের অ্যালার্জি থাকে তবে আপনার যে কোনও বাদাম চিন্তাভাবনা করে খাওয়া উচিত। যাদের আখরোটে অ্যালার্জি রয়েছে তাদেরও বাদাম খাওয়া এড়ানো উচিত। অ্যালার্জির লক্ষণগুলি গলা ব্যথা, মুখের মধ্যে চুলকানি, ফোলা ঠোঁট বা ফোলা জিহ্বা এবং গাল হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি- যারা অতিরিক্ত কাঠবাদাম খান তাদের ওজন কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে। কারণ কাঠবাদামেও ক্যালরি থাকে। প্রায় ১ আউন্স কাঠবাদামে ১৬০ ক্যালরি থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য সীমিত পরিমাণে বাদাম খান।

কোষ্ঠকাঠিন্য- বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। কিন্তু বেশি কাঠবাদাম খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিও হতে পারে। অনেক সময় বেশি কাঠবাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

কিডনিতে পাথর- কিডনিতে পাথর হলে বেশি কাঠবাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঠবাদামে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি দেখা যায়, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়।

গ্যাস এবং জ্বালা - যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোসফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) রয়েছে তাদের অল্প পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত। বেশি কাঠবাদাম খেলে বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাস অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্তপাত- কাঠবাদামে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বেশ বেশি। ভিটামিন ই রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রোধ করে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি কাঠবাদাম খেলে রক্ত জমাট বাঁধার কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে মারাত্মক রক্তপাত এবং রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দিনে কয়টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত?

সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই দিনে ৫-৬টি কাঠবাদাম খেতে হবে। যারা তীব্র ওয়ার্কআউট করেন তারাও ৮-১০টি কাঠবাদাম খেতে পারেন। কাঠবাদাম সব সময় জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া বেশি উপকারী। সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়।