Weight Loss: ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়? জেনে নিন কী বলছে বিশেষজ্ঞ
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়? জেনে নিন কী বলছে বিশেষজ্ঞ
- FB
- TW
- Linkdin
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়?
ওজন কমাতে অনেকেই অনেক চেষ্টা করেন। যাইহোক, অনেকেই ওজন কমাতে ব্যর্থ হন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, যদি আপনার ওজন কম না হয় তাহলে আপনি কিছু ভুল করছেন।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। একইভাবে, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবারই খেতে হবে। এছাড়াও, প্রতিদিন ব্যায়াম করতে ভুলবেন না।
সুস্থ জীবনযাত্রা বজায় রাখতে হবে। একইভাবে, ভাজা খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। এই সব করার পরেও, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কিছু ভুল করি যার কারণে ওজন কমে না বরং বেড়ে যায়। এই জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল শরীরে পানিশূন্যতা। হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে পানিশূন্যতা থাকলে ওজন বেড়ে যায়।
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়?
পানিশূন্যতা কি ওজন বৃদ্ধির কারণ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে পানিশূন্যতা হলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। আপনার ওজন বৃদ্ধি পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। জল শুধুমাত্র ওজন কমাতেই নয়, আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন, তাহলে আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করবেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আপনার শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে যায়, তখন আপনার বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। এর ফলে আপনার ক্ষুধা বেড়ে যাবে এবং আপনি বেশি খেতে শুরু করবেন। এতে আপনার ওজন আরও বেড়ে যাবে। তাই জল বেশি করে পান করতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন পানিশূন্যতা হয়েছে?
আপনার শরীরে পানিশূন্যতা হয়েছে কিনা তা জানা খুবই সহজ। এর জন্য আপনার হাতের ত্বক শক্ত করে চেপে ধরে ছেড়ে দিন। আপনার ত্বক যদি ২ সেকেন্ডের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা হয়েছে। আপনার শরীরে জল কম থাকার কারণে আপনার ঘুম বেশি হবে। একইভাবে, মাথা ঘোরাও হতে পারে। এছাড়াও, আপনি ঘন ঘন প্রস্রাব করবেন না। মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে।
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়?
হাইড্রেটেড থাকতে কী করতে হবে?
আপনি যদি হাইড্রেটেড থাকেন তবেই আপনার শরীর সব দিক থেকে সুস্থ থাকবে। তাই হাইড্রেটেড থাকতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। একইভাবে, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেশি করে জলযুক্ত ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। জলের সাথে সাথে ডাবের জল পান করার অভ্যাসও গড়ে তুলুন। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, ডাবের জলে পটাশিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এগুলো আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে খুবই কার্যকর।
ওজন কমানোর জন্য কোন ঋতু সেরা?
ওজন কমানোর জন্য গ্রীষ্মকাল খুবই সহায়ক। কারণ এই মরসুমে হাঁটার পাশাপাশি সাঁতারের মতো হালকা অ্যারোবিক ব্যায়ামও সহজেই করা যায়। গ্রীষ্মকালে আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কম ক্যালোরিযুক্ত ফল, শাকসবজি রাখতে হবে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালও স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়?
কোন মরসুমে ওজন বেড়ে যায়?
যেকোনো ঋতুতেই ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে ওজন বেশি বেড়ে যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরমোনের তারতম্যের কারণে শীতকালে ওজন বেড়ে যায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান, তাহলে শীতকাল আপনার জন্য খুবই সহায়ক।
প্রতিদিন কত মিনিট ব্যায়াম করলে ওজন কমবে?
ব্যায়াম শুধুমাত্র আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, এটি আপনাকে সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি সক্রিয় থাকবেন। যাইহোক, অনেকেই ওজন কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করেন। কেউ কেউ জগিং, দৌড়ানো ইত্যাদি করেন। এগুলোও অতিরিক্ত ওজন কমাতে বেশ ভালো কাজ করে। ৩০ মিনিট জগিং করলে আপনার শরীর থেকে ২২৩ থেকে ৪০০ বা তার বেশি ক্যালোরি পোড়ায়।
ডিহাইড্রেশন হলে কি ওজন বেড়ে যায়?
জগিং করার উপকারিতা
জগিং আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন জগিং করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। একইভাবে, জগিং আপনাকে সুস্থ ওজনে রাখতে সাহায্য করে। জগিং করলে ক্যালোরি বেশি পোড়ায় এবং আপনি স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমাতে পারেন।
এছাড়াও, জগিং করলে হাড় এবং পেশী শক্তিশালী হয়। বিশেষ করে, এটি নীচের হাড় এবং পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, জগিং মানসিক চাপ কমাতেও কার্যকর। একইভাবে, এটি রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, জগিং করলে আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।