সংক্ষিপ্ত

ডায়াবেটিসে ওষুধ ছাড়াও পেয়ারা খান! ঝটপট কমবে ব্লাড সুগার লেভেল

ডায়াবিটিস রোগীদের ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস বেশি করে খাওয়া উচিত। ডায়েটে আরও বেশি ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। তবে ডায়াবেটিসে কোন ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। এটা জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ফল আছে যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই হাই ফাইবার এবং লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পেয়ারা পাওয়া যায় শীতকালে। জেনে নিন ডায়াবিটিসে পেয়ারা খেতে পারেন কিনা। পেয়ারা খেলে কি সত্যিই বাড়ে? পেয়ারা খেতে পারলে কতটুকু খেতে পারবেন?

পেয়ারা এমন একটি ফল যা পুষ্টির দিক থেকে আপেলের চেয়েও বেশি। পেয়ারার উপকারিতার কারণে একে সংস্কৃতে 'অমৃত'ও বলা হয়। শীতকাল তাজা ও মিষ্টি পেয়ারার মৌসুম। প্রতিদিন ১টি পেয়ারা খেতে হবে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও পেয়ারা একটি উপকারী ফল। শুধু পেয়ারা নয়, এর পাতা ডায়াবিটিসেও উপকারী।

ডায়াবিটিসে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিবিদ, ওজন কমানোর কোচ এবং কিটো ডায়েটিশিয়ান স্বাতী সিংয়ের মতে, পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১২-২৪-এর মধ্যে থাকে, যা বেশ কম। পেয়ারায় রয়েছে অনেক ভিটামিন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, লাইকোপেন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া পেয়ারা খেলে ওজন কমে এবং শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স উন্নত হয়।

কখন পেয়ারা খাবেন?

ডায়াবেটিস রোগীরা সারাদিনে ১টি বড় পেয়ারা খেতে পারেন। সকালে নাস্তায় পেয়ারা খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি সারাদিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পেয়ারা খেলে পেট ও হজমের সমস্যাও দূর করা যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম করে। পেয়ারা খেলে স্থূলতাও কমে।