সংক্ষিপ্ত

হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সের মানুষকেই নিমেষে কাবু করে দিচ্ছে।নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে যে ক্ষয় হচ্ছ, আর্টারি ব্লক হচ্ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে না। হার্টকে কাবু করার আগে যে একেবারেই তা জানান দেয় না, তেমনটাও নয়, তবে বেশিরভাগ সময় সেই লক্ষণ আমরা বুঝতেই পারি না।

সারাদিনের অফিসের চাপ, পরিশ্রম, ব্যক্তিগত সমস্যা সারাক্ষণ মাথার মধ্যেই যেন ঘুরপাক হতে থাকে। আর সেখান থেকেই কোনও কিছু না বোঝার আগেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। বয়স ২০ হোক আর ৪০, বয়সকে তুড়ি মেরে যে কোনও রোগ জাকিয়ে বসছে। বুকে ব্যথা থেকে নিঃশ্বাসের কষ্ট হচ্ছ, শরীরের এই লক্ষণগুলি হলেও বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।

জিম করতে করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে একাধিক তারকার। কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজু শ্রীবাস্তব। দিল্লীর এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কৌতুক অভিনেতা। গোটা ইন্ডাস্ট্রি তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন। ফের শরীরচর্চা করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সিদ্ধান্ত। গতবছর সিদ্ধার্থ শুক্লাও শরীরচর্চা করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। হার্ট অ্যাটাকেই চলে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। কোনওভাবেই বুকের কোনও সমস্যাকে এড়িয়ে চললেই জাকিয়ে বসছে এই রোগ।কঠোর নিয়মের মধ্যে থেকেও রেহাই পেলেন না ৪৭-এর সুস্মিতা সেন। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে,হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছে।

 

 

হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সের মানুষকেই নিমেষে কাবু করে দিচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে যে ক্ষয় হচ্ছ, আর্টারি ব্লক হচ্ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হার্টকে কাবু করার আগে যে একেবারেই তা জানান দেয় না, তেমনটাও নয়, তবে বেশিরভাগ সময় সেই লক্ষণ আমরা বুঝতেই পারি না। আবার কখনও বুঝতে পারলেও সামান্য ট্রিটমেন্ট করে থেমে যাই আমরা। তবে এটাও ঠিক সাময়িকভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলে ভিতরে ভিতরে বাড়তে থাকে বিপদের ঝুঁকি। আচমকা বুকে ব্যথা হলে সেটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যাকে বলা হয় মাওকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশান। শিরার মধ্যে রক্তের গতি বন্ধ হয়ে গেলেই এমনটা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে গতি কমে যায়। এই সময় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। কোন বয়সে কোন রোগের কবলে আপনি পড়তে পারেন এসব এখন ভ্রান্ত ধারণা। সারাদিনের অফিসের চাপ, পরিশ্রম, ব্যক্তিগত সমস্যা সারাক্ষণ মাথার মধ্যেই যেন ঘুরপাক হতে থাকে। শুধুমাত্র বয়স্কদেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এই ধারণা এখন অতীত। যত দিন যাচ্ছে, অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। যতটা পারবেন জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন। কাজের সঠিক সময় না থাকা এবং যারা একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে ওয়ার্ক ফর্ম হোম করছেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ছে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক কম হয়। বিশেষত, মহিলাদের মেনোপজের পর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই, মেনোপজের পর মহিলাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।