সংক্ষিপ্ত

কী করে বুঝবেন যে আপনার লিভারে সমস্যা হয়েছে? জেনে নিন বিশেষ কিছু উপসর্গ

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শত শত গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্য সম্পাদন করে। বিশেষত, এটি শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে ডিটক্স করে। তবে লিভার যখন ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে, তখন তা আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম হয় না।

লিভার দুর্বল হলে খিদে থাকে না, বমি হয় এবং সব সময় দুর্বলতা অনুভব করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদী লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হলে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, লিভারে অশান্তি দেখা দিলে শুরুতেই এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে, যা চিহ্নিত করে লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক লিভার ড্যামেজ হলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয় এবং কীভাবে তা স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়?

এগুলি লিভারের ক্ষতির লক্ষণগুলি:ত্বক বা চোখের হলুদ হওয়া, ক্রমাগত ক্লান্তি,পেটে ফোলাভাব, ডান উপরের পেটে এবং ডান কাঁধে ব্যথা, চোখ বা ত্বক হলুদ হওয়া, ঘন ঘন বমি বমি ভাব, দুর্বল হজম, প্রস্রাবের গাঢ় রঙ

ক্ষুধা হ্রাস,বমি বমি ভাব বা বমি বমি ভাব

ভাল ডায়েট: যেকোনও মারাত্মক অসুস্থতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস কমে যাওয়া। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ডায়েট ভাল করুন। লিভার ডিটক্সকে সমর্থন করতে বিটরুট, হলুদ, শাকযুক্ত শাক এবং রসুনের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন: আপনি যত বেশি জল পান করবেন, আপনার শরীর তত বেশি হাইড্রেটেড থাকবে এবং ক্লিনজিংয়ের প্রচারের জন্য লেবু দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন: মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত চিন্তা শরীরকে অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। তাই মানসিক চাপ কম রাখুন, মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের অভ্যাস করুন।

অ্যালকোহল গ্রহণ করবেন না: যদি আপনার লিভারের রোগ ধরা পড়ে তবে আপনার অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত। লিভারের লোড কমাতে অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।