থাইরয়েড কীভাবে চোখের উপর প্রভাব ফেলে? অসুস্থ হওয়ার আগে জেনে নিন অবশ্যই
- FB
- TW
- Linkdin
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাস থাইরয়েডের কারণ। কিন্তু থাইরয়েডের সমস্যা কোন ছোটখাটো অসুস্থতা নয়।
থাইরয়েড আমাদের ঘাড়ের নীচের অংশে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি আমাদের শরীরের অনেক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলিকে থাইরয়েড হরমোন বলা হয়। যখন এই গ্রন্থি খুব কম বা খুব বেশি হরমোন নিঃসরণ করে, তখন থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েডের কারণে ওজন বৃদ্ধি, ত্বক শুষ্কতা, অত্যধিক ক্লান্তি, ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা, চুল পড়া, হৃদস্পন্দনের হার কমে যাওয়া, হতাশা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে থাইরয়েড আমাদের চোখের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। আসলে থাইরয়েড আমাদের চোখের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে?
থাইরয়েড চোখের রোগ
থাইরয়েডের কারণে চোখের সমস্যাকে থাইরয়েড চোখের রোগ বলা হয়। এটি একটি অটোইমিউন রোগ। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আমাদের চোখের পিছনের টিস্যুগুলিতে আক্রমণ করে। এর ফলে আমাদের চোখে ফুলে ওঠা সহ অনেক চোখের সমস্যা দেখা দেয়। আসলে থাইরয়েডের কারণে কী ধরনের চোখের সমস্যা দেখা দেয়?
শুষ্ক চোখ: থাইরয়েডের কারণে কখনও কখনও চোখ খুব শুষ্ক হয়ে যায়। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি জানেন না। থাইরয়েড হরমোন আমাদের অশ্রু উৎপাদনকারী ল্যাক্রিমাল গ্রন্থির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে চোখে চুলকানি হয়। জ্বালা করে। শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকেই এই সমস্যাটিকে হালকাভাবে নেন। কিন্তু এটিকে অবহেলা করলে চোখের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
আলোর সংবেদনশীলতা
থাইরয়েডের কারণে চোখ শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি আলোর সংবেদনশীলতাও দেখা দেয়। এর ফলে আপনি খুব বেশি আলো সহ্য করতে পারবেন না। এর ফলে আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও সমস্যা হতে পারে।
চোখ বাইরে বেরিয়ে আসা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইরয়েডের সমস্যার কারণে চোখ খুব ফুলে যায়। থাইরয়েড চোখের রোগের কারণে আমাদের চোখের চারপাশে তরল জমে। এর ফলে চোখ ফুলে বাইরে বেরিয়ে আসার মতো মনে হয়। একে এক্সোফথালমোসও বলা হয়।
দ্বিগুণ দৃষ্টি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইরয়েড চোখের রোগের কারণে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া হয়। এর ফলে কারও কারও স্থির থাকতে সমস্যা হয়। অর্থাৎ এর ফলে দ্বিগুণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ব্যক্তিগত কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে।