Parenting Tips: শিশুদের কখন থেকে ব্যায়াম শেখানো উচিত? জেনে নিন টিপস
- FB
- TW
- Linkdin
প্রতিটি শিশুর শারীরিক গঠন আলাদা। সব শিশু একরকম নয়। তাই সব শিশুকে একই ধরণের ব্যায়াম করতে দেওয়া উচিত নয়। শিশুরা সবসময়ই ছোটাছুটি করে। এটি তাদের শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রতিদিন এক ঘন্টা ব্যায়াম শিশুদের শরীরকে আরও নমনীয় রাখবে।
কোলের শিশু থেকে হাঁটা শেখা পর্যন্ত শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই হাত-পা নাড়াচাড়া করে। এক জায়গায় না বসে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করে। এই বয়সে তাদের বিশেষ ব্যায়াম না করলেও চলবে। তবে প্রতিটি শিশুরই ৫ বছর থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যায়াম করা জরুরি। কেন, তা এই পোস্টে জানুন।
কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত?
শহরাঞ্চলে এর ব্যাপারে কিছুটা সচেতনতা রয়েছে। সকালে বাবা-মায়ের সাথে মাঠে গিয়ে ছোট ছোট ব্যায়াম করতে দেখা যায়। প্রতিটি স্কুলেই শিশুরা ছোটবেলায় ব্যায়াম শিখুক, সেজন্যই এক ঘন্টা বরাদ্দ করা হয়। তাই শিশুরা স্কুলে ব্যায়ামের সময় নিজেদের ব্যস্ত রাখলে তা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
স্কুলের বাইরেও বাড়িতে এসে কোনও খেলাধুলা বা ব্যায়ামে শিশুদের অংশগ্রহণ করতে বাবা-মায়ের উচিত সাহায্য করা। প্রতিদিন এক ঘন্টা শিশুদের ব্যায়াম বা কোনও খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকা উচিত।
সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই ব্যায়াম করলেই চলবে। কিছু বাবা-মা মনে করেন ব্যায়ামের জন্য সময় নষ্ট। তবে এর জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করার দরকার নেই। শিশুরা যখন মোবাইলে গেম খেলে বা টিভিতে কার্টুন দেখে, তখন তাদের ব্যায়ামে মনোযোগী করতে পারেন।
৩ থেকে ৫ বছর:
এই বয়সের শিশুদের সারাদিন সক্রিয় থাকা জরুরি। তারা খেলাধুলা করলেই যথেষ্ট। প্রতিদিন প্রায় ৩ ঘন্টা মাঝারি ও তীব্র শারীরিক কার্যকলাপে থাকা জরুরি।
৬-৮ বছর:
এই বয়সের শিশুদের লাফ দেওয়া, ছোঁড়া, লাথি মারা, বল ধরা ইত্যাদি মৌলিক শারীরিক কার্যকলাপের দক্ষতা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। তারা সংগঠিত খেলাধুলায়ও অংশ নিতে পারে।
৭-৮ বছর:
এই বয়সের শিশুরা প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম শুরু করতে পারে।
৯-১২ বছর:
তাদের দক্ষতা, উন্নতি এবং সমন্বয়ের দক্ষতা থাকা উচিত। তারা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য ব্যায়ামেও মনোযোগ দিতে পারে।
১২ -১৯ বছর:
কিশোর-কিশোরীরা হালকা ওজন, সঠিক পদ্ধতি এবং প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম শুরু করতে পারে।
কোন ধরণের ব্যায়াম?
ব্যায়াম সাধারণত শিশুদের শরীরকে নমনীয় রাখতে এবং তাদের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি তাদের শরীর ও মনকে শক্তিশালী করে। আপনার পোষা প্রাণীদের সাথে শিশুদের হাঁটতে নিয়ে যাওয়াও ভালো ব্যায়াম। এছাড়াও দৌড়ানো, লাফ দেওয়া, লাফানো, নাচ করা ইত্যাদি শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম।
কাবাডি, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদি বন্ধুদের সাথে মিলে করার জন্য উপযুক্ত খেলা। প্রতিটি শিশুরই আলাদা প্রতিভা থাকে। তাই অন্য শিশুদের মতো আপনার শিশুকেও ব্যায়াম করতে হবে বলে ভাববেন না। আপনার শিশুর শারীরিক অবস্থা এবং যোগ্যতা বিবেচনা করে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম বেছে নিন।
আপনার শিশুকে খেলাধুলা বা ব্যায়ামে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার আগে ব্যায়াম প্রশিক্ষক বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো। এরপর তাদের ব্যায়াম বা খেলাধুলা করার অনুমতি দিলে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হবে না।
আপনার শিশুকে খেলাধুলা এবং ব্যায়ামে অংশগ্রহণ করার সময় তাদের সুষম খাবার দেওয়া জরুরি। রাতে ভালো ঘুম অপরিহার্য। এটি যদি আপনি সাবধানে অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার শিশু ভবিষ্যতে যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।