সংক্ষিপ্ত
শীতে গায়ে, হাতে, পায়ের যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়ছেন? এই জলেই রয়েছে রোগমুক্তির মূল চাবিকাঠি
শীতকালে ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত খারাপ একটা সিজন। এই আবহাওয়ায় জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং ফোলাভাব অস্বস্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। যাতে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ খুব বেশি না বাড়ে। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা রান্নাঘরে ব্যবহৃত মশলা ব্যবহার করে তাদের ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডে জোয়ান বীজের ব্যবহার উপকারী বলে মনে করা হয়।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে জোয়ানের কার্যকর প্রভাব দেখা যায়। এটি আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথাতেও মুক্তি দেয়। ইউরিক অ্যাসিডে কীভাবে জোয়ান ব্যবহার করবেন তা জানেন?
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে জোয়ানের জল ব্যবহার করতে পারেন। জোয়ানের জল খুব উপকারী বলে প্রমাণিত। এর প্রভাব গরম। আপনি যদি সারা দিন জোয়ানের জল পান করেন বা সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জোয়ানের জল পান করেন তবে এটি ইউরিক অ্যাসিড হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
জোয়ানের জল তৈরি করতে, একটি প্যানে জল দিন এবং এতে জোয়ান দিন। ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ সেলারিই যথেষ্ট। এবার এই জলে সারারাত রেখে দিন এবং সকালে গরম করে পান করুন। আপনি সারা দিন এটি পান করতে পারেন।
জোয়ান জয়েন্টের ব্যথায় আরাম দেবে
জোয়ানের জল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে না তবে জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। জোয়ানের জলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বাতের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি হ্রাস করে। সর্দি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা থেকে শরীরকে রক্ষা করে এমন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। শীতে শরীর গরম রাখতে সেলারি জলও পান করতে পারেন।
জোয়ানের জল পান করার উপকারিতা
জোয়ানের জল শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। জোয়ানের জল পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমতে পারে। জোয়ানের জল পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। জোয়ানের জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। জোয়ানের জল জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতেও সহায়তা করে। জোয়ানের জল পান করা ওজন কমাতেও সহায়তা করে।