জওহরলাল নেহেরুর জীবন সম্পর্কে রইল ১০টি অজানা কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
- FB
- TW
- Linkdin
১৮৮৯ সালের নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখ জন্ম হয়েছিল নেহরুর। তিনি ছিলেন, সকল বাচ্চার চাচা। তিনি সারা জীবন শিশুদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে বেশ কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। সেই তালিকায় আছে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কাশ্মীরের এক পন্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিজয় লক্ষ্মী পন্ডিত ও কৃষ্ণা হুথি সিং নামে তার দুই বোন ছিল। তাঁর পিতামহের নাম ছিল গঙ্গাধর পন্ডিত। তিনি ছিলেন দিল্লির শেষ কোতোয়াল। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কয়েকদিন আগে তিনি নিযুক্ত হন।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কখনও নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেননি। যদিও ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে তিনি ১১ বার মনোনীত হয়েছিলেন। জওহরলাল নেহেরু তাঁর কাজের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
১৯০৭ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে যোগ দেন তিনি। ১৯১০ সালে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইনার টেম্পল থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সেখানে তাঁকে জো নেহেরু বলে ডাকা হত।
স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ায় তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। তিনা প্রায় নয় বার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ব্রিটিশরা পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে ৩২৫৯ দিনের জন্য বন্দী করেছিল। যা প্রায় নয় বছরের সমান। তিনি টুওয়ার্ড ফ্রিডম নামে তাঁর আত্মজীবনী লিখেছিলেন তখন। এটি ১৯৩৬ সালে আমেরিকায় প্রকাশিত হয়।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯২৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বের চলমান সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। পন্ডিত নেহেরুকে চারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথমবার ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়। দ্বিতীয় বার ১৯৫৫ সালে একজন রিকশাচালক দ্বারা তৃতীয়বার ১৯৫৬ সালে এবং চতুর্থবার ১৯৬১ সালে মুম্বইয়ে।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ২৭ মে ১৯৬৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ তাঁকে শেষ বার দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। ভারতে শিশু দিবস প্রথম দিকে পালতি হত ২০ নভেম্বর। অনেক সময় তা পালিত হত ২০ নভেম্বর। কিন্তু, জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর দিনটি ১৪ নভেম্বর স্থির করা হয়। তখন থেকেই ১৪ নভেম্বর পালিত হচ্ছে শিশু দিবস।
জানা যায় তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯২৭ সালে সম্পূর্ণ জাতীয় স্বাধীনতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিস -সহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে ভারতীয়দের বন্ধন ত্যাগ করেছিলেন।
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯১৬ সালে অ্যানি বেসান্টের হোম রুল লীগে একজন কর্মী হিসেবে যোগ দেন। তিনি আধুনিক ভারতের স্বপতি নামে পরিচিত। জানা যায়, তিনি নিরাপত্তা প্রহরী নিতে পছন্দ করতেন না।
২৬ বছর বয়সে নেহেরু কমলা কৌল নামে ১৬ বছর বয়সী কাশ্মীর ব্রাক্ষ্মণ মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর বাবা পুরান দিল্লির একজন নামকরা বণিক ছিলেন। ১৯১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁধের বিয়ে হয়। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৩৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডে তিনি মারা যান।