নিমপাতার জলে স্নানের উপকারিতা! কেন জলে ডুবিয়ে রাখবেন এই উপাদান? জেনে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
নিমপাতায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি ব্যবহার করে আমরা অনেক রোগের সমস্যা কমাতে পারি। অনেক লোক নিমপাতা দিয়ে গরম জলে ছোট বাচ্চাদের এবং নবজাতকদের স্নান করিয়ে থাকেন। কারণ নিমের নির্যাস অনেক রোগ এবং সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। শুধু তারাই নয়, প্রত্যেকেই নিমপাতা মিশ্রিত জলে স্নান করতে পারেন। এই জলে নিয়মিত স্নান করার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি এখন জেনে নেওয়া যাক।
নিমপাতার জলে স্নানের উপকারিতা
সংক্রমণ থেকে মুক্তি
নিমপাতায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এগুলি আমাদের ত্বকে ময়লা জমে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। স্নানের জলে নিমপাতা মিশিয়ে স্নান করলে মুখে ব্রণ হয় না। অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও হয় না।
ত্বকের শুষ্কতা কমায়
জলে নিমপাতা ফুটিয়ে স্নান করলে ত্বক সুস্থ থাকে। বিশেষ করে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটা কমে যায়। নিমপাতা আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
দেহের দুর্গন্ধ কমায়
দেহের দুর্গন্ধের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ঘাম এবং ত্বকে ময়লা জমে থাকা। নিমপাতার স্নান দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। দুর্গন্ধ কমাতে স্নানের জলে নিমপাতা মেশান। এটি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
চোখের অ্যালার্জি থেকে উপশম
নিমপাতার জলে স্নান করলে আপনার চোখ সুস্থ থাকবে। বিশেষ করে, এই জল ঋতু অনুযায়ী চোখের অ্যালার্জি থেকে উপশম দিতে সাহায্য করে। দূষণ আমাদের চোখ এবং ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে। এটি কমাতে নিমপাতার জলে স্নান করুন।
ব্রণ কমায়
ব্রণের সমস্যা কমাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। এই সমস্যা থাকলে নিমপাতা জলে ফুটিয়ে স্নান করলেই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ব্রণ অনেকটা কমে যায়।
ত্বকের অ্যালার্জি থেকে উপশম
নিমপাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ব্যবহার করে ত্বকের অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি বা চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা কমানো যায়। এই সমস্যাগুলি কমাতে নিমপাতার জলে স্নান করুন।
চুলকানি দূর করে
নিমপাতার জলে মাথায় স্নান করলে খুশকি, চুলকানি, ফোলাভাব ইত্যাদি সমস্যা অনেকটা কমে যায়। এটি মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে খুবই কার্যকর। নিমপাতার জলে স্নান করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে। খুশকি কমে চুল ঘন হবে।
পরামর্শ
কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই টিপসটি অনুসরণ করুন।