সংক্ষিপ্ত
রবিবার ১২ জানুয়ারি ২০২৫ স্বামীজির ১৬৩তম জন্মদিন। ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কলকাতার সিমলা পালিতে পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ও মাতা ভুবনেশ্বরী দেবীর কোল আলো করে জন্মেছিলেন আমাদের স্বামীজি। বাবা বিশ্বনাথ দত্ত পেশায় আইনজীবী ছিলেন। ছেলেবেলায় বীরেশ্বর বা সংক্ষেপে বিলে বলে ডাকা হত স্বামীজিকে। ভাল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। আদরের নরেনের প্রচুর বন্ধুবান্ধব ছিল। কিন্তু সমস্ত ছেলেদের থেকে বুদ্ধিমান ছিলেন তিনি। সবাই যেন তাঁকে নেতা বলে মনে করত।
নরেন ও তাঁর বন্ধুরা প্রায়ই একটি বাগানে খেলা করত। বাগানের বিভিন্ন ডালে লাফালাফি করত তাঁরা। শিশুদের সেই খেলা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন বাগানের মালিক। কারণ কেউ যদি কোনও কারণে গাছ থেকে পড়ে যেত তাহলে মারাত্মক আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। একদিন বাগানের মালিক নরেন ও বন্ধুদের বাগানে খেলতে মানা করেন। তাঁর কথা মতো সবাই বাগান ছেড়ে চলে গেলেও পরের দিন আবার ফিরে আসে।
কোনও ভাবেই বাচ্চাদের বাগানে ঢোকা বন্ধ করা যাচ্ছে না দেখে শেষমেশ বাগান মালিক একটি পরিকল্পনা করেন। তিনি শিশুদের বলেন যে এই বাগানের গাছে একটা বিশাল দৈত্য বসবাস করে। তাদের লাফালাফির কারণে দৈত্য রেগে গিয়ে তাদের ভয় দেখাতে পারে। বাগান মালিকের এই কথা শুনে বাকিরা ভয় পেয়ে গেলেও নরেন একদমই ভয় পায়নি। উল্টে দৈত্য ঠিক কেমন দেখতে হয় তাই জিজ্ঞাসা করেন বাগানের মালিককে। মালিক উত্তরে বলেন তালগাছের মতো লম্বা ও ও ভয়ঙ্কর দেখতে হয় দৈত্য।
এরপর একে একে সব ছেলেরা বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু নরেন বাড়ি গিয়ে ভাবে যে দৈত্যকে একবার চোখে দেখলে বড় ভাল হয়। সেইজন্য সে রাত্রিবেলা চুপ করে বাগানে গিয়ে গাছে উঠে বসে। কিন্তু ভোরের আলো ফুটে গেলেও বাগানে দৈত্য দেখা যায় না। অন্যদিকে তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় পাড়াতে। তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে সকলেই সেই বাগানে আসে। বাগান মালিকও হাজির হয় বাগানে। এরর নরেনকে খুঁজে পেয়েই সবাই জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন বাগানে ছিল তাতে উত্তরে নরেন বলেন যে তিনি দৈত্য দেখার জন্য বাগানে অপেক্ষা করছিলেন। ছোট্ট ছেলের এই সাহস দেখে তাজ্জব বনে গেলেন সকলে।