সংক্ষিপ্ত
মাঝে মধ্যে মুখে ঘায়ে কাহিল হতে হচ্ছে! এই ঘরোয়া টোটকাতে ২ দিনের মধ্যে কমে যাবে মাউথ আলসার
মুখে ঘা হওয়ার সমস্যা যে কোনও মানুষেরই হতে পারে। তবে কিছু মানুষের এই সমস্যা বারবার হয়। বেশিরভাগ মুখের ঘা তখনই হয় যখন হরমোনাল পরিবর্তন হয়, পেট খারাপ থাকে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মুখে দাঁতের আঘাত লাগে, সংবেদনশীলতা থাকে, কিছু মশলাদার বা অ্যাসিডিক খাবারে অ্যালার্জি হয় বা কোনও পুষ্টির অভাবের কারণেও ঘা হতে পারে।
যারা ওরাল হাইজিন মানেন না অর্থাৎ যারা মুখ পরিষ্কার রাখে না, তাদেরও ঘা হতে পারে। ঘা লাল বা সাদা রঙের হয় এবং এর কারণে পুরো মুখে ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত ঘা নিজেই সেরে যায়, তবে কষ্ট কমানোর জন্য চেষ্টা করা হয় যে ঘা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি পাওয়া যায়। এখানে জানুন কীভাবে এই ঘা দূর করার জন্য বাড়ির কিছু জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে।
মধু লাগান
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর মধু ঘায়ে লাগালে ঘা কমতে পারে। মধু কিছুক্ষণ ঘায়ে লাগিয়ে রাখুন যাতে ঘা নিরাময়ের গুণ পায়। এরপর মুখ ধুয়ে মধু সরিয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল
ঘা থেকে মুক্তি পেতে নারকেল তেল লাগানো যেতে পারে। এক চামচ নারকেল তেল নিন এবং এটি ঘায়ে লাগান। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর সরিয়ে ফেলুন। ব্যথা কমবে এবং ঘা সেরে উঠবে।
নুন জল
এক কাপ হালকা গরম জলে নুন মেশান এবং এই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। এই নুন জলে দিনে ২ থেকে ৩ বার কুলকুচি করলে প্রদাহ কমে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। লবণ জল মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে।
হলুদের পেস্ট
ঘায়ে হলুদের পেস্টও লাগানো যেতে পারে। এক চামচ হলুদে জল মেশান এবং পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ঘায়ে লাগান এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। হলুদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার
মুখের ময়লা দূর করার পাশাপাশি ঘা থেকে মুক্তি পেতেও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে। এক গ্লাস জল ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশান। এবার এই জল মুখে নিয়ে কুলকুচি করুন এবং তারপর ফেলে দিন। দিনে ৩-৪ বার এই প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে। ঘা কমতে শুরু করবে।