- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- শিশুদের মন থেকে নিগেটিভিটি তাড়াবেন কী করে? জেনে নিন সেরা প্যারেন্টিং টিপস
শিশুদের মন থেকে নিগেটিভিটি তাড়াবেন কী করে? জেনে নিন সেরা প্যারেন্টিং টিপস
- FB
- TW
- Linkdin
বাচ্চাদের সুস্থ থাকার জন্য তাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বাবা-মায়েদের তাদের বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই ভাল অভ্যাস শেখানো উচিত। এই অভ্যাসগুলিই তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করবে।
বাবা-মায়েরা যেভাবে বাচ্চাদের মানুষ করেন, সেভাবেই তাদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে। যতই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসুক না কেন, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসাও স্বাভাবিক। বাচ্চাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এলে তারা তাদের প্রিয়জনদের প্রতিও ঘৃণা প্রকাশ করবে। শুধু তাই নয়, বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও কমতে শুরু করবে। বাচ্চাদের মধ্যে থাকা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বাবা-মায়েদের খুঁজে বের করে সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই এই পোস্টে বাচ্চাদের মধ্যে থাকা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করে তাদের ইতিবাচক করে তোলার কিছু টিপস দেওয়া হল।
কি ঠিক? কি ভুল? তা শেখান:
বাচ্চাদের মধ্যে থাকা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করতে কি ঠিক? কি ভুল? তা তাদের শেখান। তারা যখন খেলা করে বা কিছু করে, তখন ঠিক-ভুল সম্পর্কে তাদের শেখালে তাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিবর্তিত হবে এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসতে শুরু করবে।
আপনি ইতিবাচক থাকুন:
আপনার বাচ্চার নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বন্ধ করতে প্রথমে নিজেকে ইতিবাচক রাখুন। কারণ আপনি যদি ইতিবাচক না হন তাহলে আপনার বাচ্চাও আপনার মতোই হবে। কারণ আপনার বাচ্চা আপনাকে দেখেই বড় হবে। আর আপনি যদি ইতিবাচক না হন তাহলে আপনার বাচ্চা মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার যদি মানসিক চাপ, উদ্বেগ বেশি থাকে তাহলে আপনার বাচ্চাই নেতিবাচকতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সমস্যা বুঝুন:
সাধারণত বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের সমস্যা খোলাখুলিভাবে বলতে পারে না। তারা তা মনে রেখে কষ্ট পাবে। আর এর ফলে তাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বেড়ে যাবে। আপনার বাচ্চার আচরণে যদি কোনো পরিবর্তন দেখেন, তাহলে কারণ জিজ্ঞাসা করুন। বাচ্চাকে খোলাখুলি কথা বলতে বলুন। তারা যদি কোনো সমস্যায় থাকে, তাহলে কারণ খুঁজে বের করুন, কি ঠিক কি ভুল তা বুঝিয়ে বলুন। আপনি আপনার বাচ্চাকে বোঝার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসবে না। তারা আপনার সাথে তাদের সমস্যা শেয়ার করতে শুরু করবে।
বাচ্চার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন:
এর জন্য বাচ্চাদের মধ্যে নতুন দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে বাচ্চাদের মনোযোগ নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে ইতিবাচক দিকে ঘুরবে। বাচ্চারা নতুন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বাড়তে শুরু করবে। আর তারা নতুন বিষয় আগ্রহের সাথে শিখতে শুরু করবে।
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটান:
সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এলে প্রথমেই তাদের আচরণে পরিবর্তন আসে। যেমন তারা সবার থেকে দূরে থাকবে। আর যাই বলা হোক না কেন, তা নেতিবাচকভাবেই বুঝবে। তাই এ থেকে আপনার বাচ্চাকে মুক্ত করতে প্রথমেই তাদের সাথে কথা বলার জন্য কিছুটা সময় বের করুন। এর জন্য তাদের সাথে হাঁটতে যান, খেলাধুলা করুন। আর পারলে বাচ্চাকে বেড়াতে নিয়ে যান।