সংক্ষিপ্ত
বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। পিঠে-কোমরে ব্যথা স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা বাড়ছে। এখনও যদি সচেতন না হন তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা।
একটানা ১২-১৪ ঘন্টা বাড়িতে বসে কাজ করতে গিয়ে শরীরের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই মেরুদন্ডের অবস্থাও একদম খারাপ। যারা বাড়িতে বসে ঘরের কাজ করছেন তাদের এক সমস্যা আবার যারা বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন তাদের অন্য সমস্যা। বর্তমানে বেশিরভাগ অফিসেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। পিঠে-কোমরে ব্যথা স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর এই কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ১০ কোটি মানুষ। এখনও যদি সচেতন না হন তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা। মেরুদন্ড সোজা রাখতে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা।
বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। না সময়ের হিসেব না ঘুমের হিসেব। আর এতেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ। কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। একদিকে বাড়ির কাজ অন্যদিকে অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে ঘুমের উপর। একটানা বসে কাজ করাটাও ভাল লক্ষণ নয়, তাই সময় করে একটু হাটাহাটি করে নিন। কারণ একটানা বসে কাজ করেই মেরুদন্ডের উপর বেশি চাপ পড়ছে। সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করা পিঠ- কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ। যার ফলে স্পাইনেও সমস্যা বাড়ছে।
খাটের মধ্যে উপুড় হয়ে শুয়ে কিংবা হেলান দিয়ে ল্যাপটপে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ চলছে । এই বসার ধরনেও সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু এইভাবে বেশিদিন কাজ করলেই শিরদাড়ার সমস্যা বাড়বে বৈকি কমবে না। অফিসের কাজ করার সময় খাট-সোফা নয়, বরং অফিসের মতোনই চেয়ার-টেবিলে করুন। কাজের প্রেশারের মধ্যেও অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইল রাখতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হলেও শরীরচর্চা করতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। একটানা কাজ নয়, কাজের ফাঁকে ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিন। ঘরের মধ্যেই পায়চারি করুন। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করুন। কাজের সময়ের বাইরে সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই রুটিনের মধ্যেই নিজের ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন। তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম একেবারেই নয়, রাতে ঠিক সময়ে ঘুম যেন হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন। যারা এই বাড়ি থেকে কাজ করছেন , তারা হাজারো কাজের মধ্যেও নিজের ঘুমের সময় বার করে নিন আলাদা করে। ল্যাপটপ নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বিছানায় বসে কাজ না করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাজের জায়গাটি আলাদা করাই সবথেকে ভাল। ঘুমের সময় অফিস ভুলে রিল্যাক্স করুন। ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম করেও নিতে পারেন এতেও ঘুম ভাল আসবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয হল ঘুমের সময় মোবাইলটা সবার আগে দূরে রাখুন।