সংক্ষিপ্ত
নেতাজি ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভারত সরকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী স্মরণে ২৩ জানুয়ারীকে 'বীরত্ব দিবস' হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসুন জেনে নেই এর ইতিহাস।
সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন দেশের এমনই একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, যার কর্মকাণ্ডে ব্রিটিশরা কাঁপত। তিনি দেশবাসীকে অনেক বার্তা দিয়েছিলেন, যা দেশবাসীকে আজও অনুপ্রাণিত করে। এই বছর নেতাজির ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে গোটা দেশ। তাঁর বার্তাগুলি কঠিন সময়ে আপনার সাহস বাড়াতে পারে। নেতাজি ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভারত সরকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী স্মরণে ২৩ জানুয়ারীকে 'বীরত্ব দিবস' হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসুন জেনে নেই এর ইতিহাস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে তার বিবৃতিতে বলেছিলেন যে ২০২২ সাল থেকে এই দিনটিকে বীরত্ব দিবস হিসাবে পালন করা হবে। জেনে নিই কিভাবে পালিত হয় এই বীরত্ব দিবস?
নেতাজি জয়ন্তী বীরত্ব দিবস হিসেবে পালিত হয়-
প্রতি বছরের মতো এই বছরও পালিত হবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী। পার্থক্য শুধু এই যে, এখন তার জন্মবার্ষিকী বীরত্ব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অতএব, এখন যদি কোনও নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে অভিনন্দন জানান, তবে তিনি তা বীরত্ব দিবস হিসেবে করবেন।
এই দিন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা নাটকের আয়োজন করা হয়, সেই সঙ্গে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জীবনী ভিত্তিক বক্তৃতাও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়, যাতে ছাত্ররা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করে। এই বিশেষ দিনে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভক্তরাও সভা আয়োজন করে এবং দেশের স্বার্থে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর করা কাজের কথা আগামী প্রজন্ম ও দেশবাসীকে জানান এবং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেয়।
তার অনুপ্রেরণামূলক উক্তি
১) নিজের প্রতি সত্য থাকলে কোনও মানুষই পৃথিবীর কাছে মিথ্যা হতে পারে না।
২) আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল দারিদ্র্য, অশিক্ষা, রোগ এবং বৈজ্ঞানিক উৎপাদনশীলতা। সামাজিক চিন্তার মাধ্যমেই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
৩) মানুষ ততক্ষণ বেঁচে থাকে যতক্ষণ সে নির্ভীক থাকে।
৪) পৃথিবীর সবকিছুই ভঙ্গুর। শুধুমাত্র ধারণা এবং আদর্শ শক্তিশালী।
৫) জীবনে উন্নতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ এবং সমাধানের প্রচেষ্টা থেকে দূরে রাখে।
৬) প্রকৃতির সাহচর্য ও শিক্ষা ছাড়া জীবন মরুভূমিতে নির্বাসনের মতো।