সংক্ষিপ্ত
- শূণ্যতার মধ্যে সাক্ষী হয়ে রয়েছি নিস্তব্ধতার
- সব যেন নিশ্চুপ ছন্দ হারা
- কোয়ারেন্টাইন ছাড়া উপায় নেই
- বন্দীদশায় চলছে জীবন যাপন
বিউ সরকার- সকলে ঘরবন্দি ?মৃত্যুর ভয়? হ্যাঁ ভয়। এমন একটি ভাইরাস যা তীব্র গতিতে চলা মানুষের ব্যস্ত জীবনকে এক নিমেষে ওলোট-পালোট করে দিয়ে সকলকে বাড়িতে ঘরবন্দি করে দিল। করোনার জেরে আজ সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই ঘর বন্দি। সকলেই ভয়ে ভয়ে দিনযাপন করছে। ২৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। ঘরবন্দী অবস্থায় এখনও যে কত দিন কাটবে সেটা সকলেরই অজানা।
আরও পড়ুন- করোনার বাজারে হঠাৎ যেন আমি দশভূজা, অধ্যাপিকা ঝুমুর শেয়ার করলেন তার 'লকডাউন' কাহিনি
স্কুল কলেজ কবে খুলবে জানা নেই। আমার শাটডাউন শুরু হয়েছে ২১ শে মার্চ থেকেই। সেই উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কলেজে আসার পর এভাবে ঘরে কাটানোর কথা মনে পড়ে না। যাইহোক বহুদিন পরে বাড়ির সবাইকে কাছে পেয়ে সময়টা ভালোই কাটছে। যদিও পাশে পাচ্ছি না বাবাকে কারণ তিনি একজন ব্যাঙ্ক কর্মী, ছুটি নেই। তাকে রোজ নিয়মিত সমস্ত ভয় কে অতিক্রম করে অফিসে ছুটে যেতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন- লকডাউনে চার দেওয়ালের মধ্যে কীভাবে সামলাবেন বাচ্চাদের, রইল টিপস
আমি যেহেতু স্টুডেন্ট, সে রকম কোনও কাজ নেই তাই ঘরবন্দি থাকার এই সুযোগটাকে আমি কাজে লাগিয়ে নিচ্ছি। পড়ে নিচ্ছি চটজলদি একের পর এক গল্পের বই। ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সী, গোয়েন্দা থেকে শুরু করে কবি সাহিত্যিকদের বিভিন্ন রকম উপন্যাস ও ছোট গল্পের বই। পাশাপাশি একটু রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে খুন্তি নাড়িয়েও মায়ের সঙ্গে রান্নায় সাহায্য করে ওঠার চেষ্টা করছি। সর্বশেষে এটাই বলব অবসর যাপন চললেও করোনা আতঙ্ক যাতে তাড়াতাড়ি কেটে যায় সেই প্রার্থনাই করি।
বিউ সরকার, মাসকমিউনিকেশন এর ছাত্রী, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ।