সংক্ষিপ্ত
- সিসি১০ লাইটের আদল থাকবে শাওমি মি এ৪ ফোনে
- সরু বেজেল, স্লিম ও প্রিমিয়াম ডিজাইন এই ফোনের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত
- এই বছরেই লঞ্চ হবে মি এ৪ ভারতে
শাও মি অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান নিয়ে ততটাও আশাপ্রদ হওয়া যাচ্ছে না, যতটা ২০১৭ সালে আসলটিকে নিয়ে হওয়া গিয়েছিল। মি এ৩ যেটা কিছুদিন আগে লঞ্চ হয়ে গেছে সেটি আসলে চিনে মি সিসি৯ লাইট নামে পরিচিত। ওই মডেলটিকে নতুন নামে লঞ্চ করা হয়েছিল ভারতীয় বাজারে। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে ফোনটি প্রধাণত এমআইউআই উপর ভরসা না রেখে অ্যান্ড্রয়েডের স্টক ভার্সানের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। মি সিসি৯ লাইট খুব একটা শক্তিশালী ফোন ছিল না। তাই, শাওমি এখন চাইছে পরিমার্জিত বিকল্প নির্মাণ করতে। সিসি১০ সিরিজটি ভীষণভাবে ফিরে আসতে চাইছে নতুন রূপে।
ওয়েবে এই ফোনের ছবি দেখে ধারণা করা যায় কিছুটা কিন্তু পুরোটা তখনই বোঝা যাবে যখন প্রকৃত ফোনটি দেখতে পাওয়া যাবে। সিসি ১০ লাইটের আদলে তৈরি হবে মি এ৪, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সিসি১০ ও সিসি১০ লাইট ফোনে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকছে?
মি সিসি১০ ও মি সিসি১০ লাইট দুটি ফোনের সেট দেখতে এক। তবে সিসি৯ -এর যে ডিজাইন ছিল, তার থেকে এই দুটি ফোনের চেহারায় পার্থক্য অনেকটাই। সিসি১০ এর ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই ফোনে বেজেল-লেস ডিজাইন থাকবে, সংগে ছোটো পাঞ্চ-হোল কাট আউট, ক্যামেরার জন্য। কাটআউওটটি সত্যিই বেশ ছোটো কারণ বেজেল ভীষণই সরু আর এর কারণ হল অ্যামোলেড প্যানেলের ব্যবহার। ওয়েবে প্রকাশিত ছবি থেকে এও বোঝা যাচ্ছে যে ইন_ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেনসর থাকবে।
সিসি৯-এর মতোই সিসি১০ সিরিজের ফোনেও থাকবে একই রকম সাদা গ্রেডিয়েন্ট। পিছনের চারটি ক্যামেরার জন্য বৃত্তাকার বড়ো ক্যামেরা মডিউলস থাকবে। গত বছরে ওয়ানপ্লাস ৭টি ফোনটিতে যেমন দেখেছি ওইরকম দেখতে হবে ক্যামেরার ডিজাইন। আর রেডমি কে২০ প্রো ফোনের মতো হাইলাইটার লেন্স থাকবে।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে এসবই হল কন্সেপ্ট। এই বছরে মি এ৪ ফোনটিতে যদি এই ডিজাইনগুলো প্রয়োগ করা হয় তাহলে ফোনটি চমকপ্রদ হবে। মি এ৩ ফোনটি ক্রয়ক্ষম রেঞ্জের মধ্যেই প্রদান করেছে গোরিলা গ্লাস ৫ প্রোটেকশন এবং অ্যামোলেড ডিসপ্লে। তবে সদ্য প্রকাশিত মি এ৪ ফোনে্র ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এই ফোনে থাকবে প্রিমিয়াম লুক, প্রিমিয়াম ডিজাইন। সরু বেজেল। ছোটো পাঞ্চ হোল ক্যামেরা যা ফোনটিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। মি এ৪ লঞ্চ হতে পারে ভারতীয় বাজারে এই বছরেই।