সংক্ষিপ্ত
ঠাকুর ঘর বা প্রার্থনার জায়গা বিশেষ পবিত্র বলে মানেন সবাই। কিন্তু জানেন কী, নিয়ম নিষ্ঠা ভরে দেবতাকে ডাকার সময়েও অজান্তে কিছু ভুল করে ফেলি আমরা।
দুবেলা পুজো (Puja) না করলে গৃহস্থ পরিবারের দিন অসম্পূর্ণ থাকে। নিয়ম নিষ্ঠা ভরে পুজো সংসারে (Home) শান্তি আনে। ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস দেবতা (God) থাকেন পুজোর স্থলে। তাই ঠাকুর ঘর বা প্রার্থনার জায়গা বিশেষ পবিত্র বলে মানেন সবাই। কিন্তু জানেন কী, নিয়ম নিষ্ঠা ভরে দেবতাকে ডাকার সময়েও অজান্তে কিছু ভুল করে ফেলি আমরা।
এই ধরণের ভুলে সংসারে নেমে আসতে পারে অমঙ্গলের কালো ছায়া। জীবনে পড়তে পারে কুপ্রভাব। তাই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি। পুজো করতে বসে কিছু ভুল কখনই করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু বিশেষ নিয়ম যা পালন করলে আপনি সর্বদাই ভগবানের কৃপাধন্য হতে পারবেন।
১। ঠাকুরঘরে কখনই কোন অপরিস্কার ছবি এবং পুরনো ক্যালেন্ডার রাখা উচিত নয়। ঠাকুর ঘর সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। পুরোনো ছবি বা ক্যালেন্ডার পুজোর স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করে।
২। ঠাকুরের ভোগ দেওয়ার সময় বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তা নিয়মভরে দেওয়া হয়। সব সময় নজর রাখতে হবে যাতে, শুধুমাত্র আতপ চাল দিয়েই ভাগবানের ভোগ তৈরি করা হয়। ভগবানকে নিবেদন করা ভোগে যেন কোনও ত্রুটি না থাকে।
৩। অনেক সময়ই এমন হয়, সময়ের অভাবে বেশ কিছু দিনের প্রসাদ একসাথে কিনে এনে সেটি ঠাকুরঘরে রেখে দিতে হয়। কিন্তু এমনটা করা উচিত নয়। দিনের দিন যেই প্রসাদটি আপনি দিচ্ছেন সেটি ব্যাতীত বাকি অংশটুকু অন্যত্র রাখুন।
৪। ঠাকুরঘরে ঠাকুরকে সর্বদাই সিংহাসনের উপরে বসাবেন। ঠাকুরের মূর্তি বা ছবিকে যেন কখনই মাটিতে স্থাপন না করা হয়।
৫। ঠাকুরঘরে যখন পুজোয় বসবেন তখন খেয়াল রাখবেন, কোনভাবেই সিংহাসনের ঠিক মুখোমুখি ভাবে বসা যাবে না। বরং নিজের আসনকে বাম বা ডান দিকে চেপে বসে তবেই পুজো করুন।
৬। পুজো করতে বসার সময়ে সবসময় হালকা গন্ধের ধূপ জ্বালান। ঠাকুরঘর যেন সর্বদাই সুমধুর গন্ধে ভরপুর থাকে। তাই কোন হালকা মিষ্টি যুক্ত ধূপ/ ফুল ব্যবহার করুন।
৭। ঠাকুর পুজোর জন্য ব্যবহৃত আসন অন্যত্র ব্যবহার করবেন না। এমনকী ঠাকুরের কাজে ব্যবহৃত বাসনও অন্য কাজে ব্যবহার যেন না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
৮। প্রদীপ জ্বালানোর ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যাতে পুজোর সম্পূর্ণ সময় পর্যন্ত প্রদীপের শিখা উজ্জ্বল থাকে। পুজোর পর তা হাত দিয়ে হাওয়া করে নেভাতে হবে।