সংক্ষিপ্ত
ঘি থেকে মারাত্মক লিপোইড নিউমোনিয়া: নাকে ঘি লাগালে সর্দি-কাশির চিকিৎসা হয় না, বরং লিপোইড নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন।
শীতে ছোট বাচ্চাদের নাকের বাইরে এবং ভিতরে ঘি মাখতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন অনেক ভিডিও আসে যেখানে নাকের বাইরে এবং ভিতরে ঘি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে সর্দি-কাশি না হয়। আপনার জেনে অবাক হবে যে নাকের ভিতরে লাগানো ঘি যদি ভুল করে ফুসফুসে পৌঁছে যায় তাহলে মারাত্মক জীবনহানির কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেই কেন নাকে ঘি লাগানো বিপজ্জনক হতে পারে।
নাকে ঘি লাগালে লিপোইড নিউমোনিয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালার্জিতে আক্রান্তদের জন্য নাকে ঘি লাগানো জীবনহানির কারণ হতে পারে। লিভার বিশেষজ্ঞ ডাঃ সিরিয়াক এবি ফিলিপস সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের সমালোচনা করেছেন, যাতে সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে নাকে ঘি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ডাঃ ফিলিপস লিখেছেন যে নাকের ভিতরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট লাগালে অ্যালার্জির প্রদাহ কমে না। এছাড়াও ডাক্তার জানিয়েছেন যে এর ফলে শিশু বা বড়দের লিপোইড নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। লিপোইড নিউমোনিয়া একটি বিরল অবস্থা যা ফ্যাটের কণা ফুসফুসে পৌঁছানোর কারণে হতে পারে। ঘি স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা ফুসফুসে পৌঁছে প্রদাহের কারণ হতে পারে।
লিপোইড নিউমোনিয়ার লক্ষণ
লিপোইড নিউমোনিয়ার লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু ব্যক্তির মধ্যে হালকা লক্ষণ দেখা দেয় আবার কারও কারও মধ্যে গুরুতর লক্ষণ সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
- বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- তীব্র জ্বর
- কাশির সাথে রক্ত পড়া
- খাবার গিলতে অসুবিধা
- রাতে ঘাম হওয়া
আপনার সন্তানেরও যদি উপরে উল্লিখিত কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং রোগ নির্ণয় করান।
লিপোইড নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
লিপোইড নিউমোনিয়া নির্ণয়ের পর ডাক্তার কর্টিকোস্টেরয়েডের মতো প্রেসক্রিপশন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে অক্সিজেন থেরাপিও দেওয়া হয় যাতে শিশুর শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। প্রয়োজনে ডাক্তার ফুসফুস পরিষ্কারও করেন যাতে ফ্যাটের পরিমাণ দূর করা যায়।