সংক্ষিপ্ত
শিশুর বয়স মোটামুটি ৩ বছর হওয়ার আগেই প্রকাশ পেতে থাকে অটিজ়মের লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি দূরীকরণ নয়, এগুলি নিয়ে তাকে বড় করে তোলার সচেতনতা দিবস ২ এপ্রিল।
এপ্রিল মাস হল বিশ্বের অটিজ়ম সচেতনতার মাস এবং ২ এপ্রিল দিনটিকে বিশ্ব অটিজ়ম সচেতনতা দিবস হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটিজ়ম হল নিউরোডেভেলপমেন্টাল অস্বাভাবিকতা। আত্মলীনতা, অর্থাৎ নিজের মধ্যে ডুবে থাকা এই অস্বাভাবিকতার প্রধানতম লক্ষণ। জন্মের সময় এই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে না। এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এই অস্বাভাবিকতা প্রথম প্রকাশ পেতে শুরু করে, যার মধ্যে ৩ বছর বয়সেই প্রায় স্পষ্ট বোঝা যায় শিশুর মধ্যে অটিজ়ম রয়েছে কিনা। অটিজ়ম সারিয়ে ফেলার মতো কিছুই নয়, এই অস্বাভাবিকতা নিয়েই শিশু জীবনে দুর্দান্ত সাফল্য পেতে পারে বা আর পাঁচজন শিশুর মতোই বড় হতে পারে, তাদের শুধু প্রয়োজন হয় সমাজের সমর্থন এবং বাবা মায়ের সচেতনতা।
জিনগত কারণে অটিজ়ম হতে পারে, জন্মদাত্রী মা গর্ভবতী থাকাকালীন কোনও রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ে। আবার শিশুর শরীরে ক্রোমোজোমের সংখ্যা হ্রাস বা অত্যধিক বৃদ্ধি পেলেও অটিজ়ম হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কোষের মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে থাকলে অটিজ়ম হয়। কিন্তু, এর প্রধানতম কারণটি আসলে কী, তা বিশ্বের কোনও বিশেষজ্ঞ এখনও অবধি স্পষ্ট বলতে পারেননি।
অটিজ়ম চিনবেন কীভাবে?
১> শিশু কোনওভাবেই সামাজিক হতে পারে না। সহজে কারুর সাথে মেশে না, কেউ মিশতে চাইলেও সে দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
২> অটিজ়মে শিশুরা চোখে চোখ মিলিয়ে কথা বলে না, বাবা-মায়ের সাথেও নয়।
৩> শিশুর নাম ধরে ডাকলেও এরা অনেক সময় সাড়া দেয় না বা কোনও প্রতিক্রিয়াই দেখা যায় না, ফলে বাবা-মা অনেক সময় মনে করেন যে তাঁদের শিশু হয়তো বধির।
৪> শিশুরা তাড়াতাড়ি কথা বলতে শেখে না। অন্যান্য শিশুদের তুলনায় দেরিতে কথা শেখে।
৫> অনুভূতি, চাহিদা বা যেকোনও বিষয়কে এরা অন্যদের কাছে বুঝিয়ে উঠতে পারে না।
৬> কোনও কোনও শিশুর মধ্যে মৃগীর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৭> অটিজ়মের শিশুরা যে কাজটি করতে চাইছে, সেটা দীর্ঘক্ষণ ধরে করেই যায়, ফলে এমনও দেখা যায় যে, এরা বিশেষ কোনও একটি কাজে দারুণভাবে পারদর্শী।
৮> অন্যান্য শিশুদের সাথে নিজের প্রিয় কাজ বা খেলাধূলা করতেও এরা আগ্রহী হয় না এবং একেবারেই বেশি কথা বলে না।
৯> সহজে কোনও কথার উত্তর দেয় না এবং একবার যে কথা বলেছে, সেই কথাই বারবার বলতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্বাভাবিকতা শিশুদের জীবনে অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে, তবে, ছোটবেলা থেকে সঠিক সহযোগিতা পেলে অটিজ়ম আক্রান্ত শিশুরাও খুব সহজেই সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে। তবে, বয়স বাড়লেও অটিজ়মের লক্ষণ কম হয় না। বরং, এই লক্ষণগুলি সঙ্গে নিয়েই এইসব মানুষ সফলতা অর্জন করতে পারেন।
আরও পড়ুন-
শিশুদের ওপর যৌনতা এবং নগ্নতা প্রদর্শনে ভরে গেছে ভারতীয়দের টুইটার অ্যাকাউন্ট, বন্ধ করা হল ৭ লক্ষ অ্যাকাউন্ট
শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের সামনে শুটআউট, দুর্গাপুরের কয়লা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি
Viral Video: ছুরি নয়, জন্মদিনের কেক কাটা হচ্ছে বন্দুক দিয়ে! যুবকের আস্পর্ধা দেখে হতবাক দিল্লি পুলিশ