শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ ঘটাতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস, জেনে নিন কী করবেন
- FB
- TW
- Linkdin
শিশু লালন-পালন আনন্দ এবং দায়িত্বে পূর্ণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। শিশুর বেড়ে ওঠার বছরগুলিতে তারা তাদের মৌলিক বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা শেখে এবং তাদের মনকে তীক্ষ্ণ করতে শেখে। এতে সাহায্য করা বাবা-মায়ের হাতেই। আজকের দ্রুতগতির জীবনে, প্রতিটি বাবা-মা চান তাদের সন্তান অন্যদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হোক।
বাবা-মায়ের কাছে এটি একটি চ্যালেঞ্জ মনে হতে পারে, তবে আসলে এটি কঠিন নয়। আপনার শিশুর মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করার জন্য কিছু টিপস এই পোস্টে দেখে নেওয়া যাক।
আপনার সন্তানের চিন্তাভাবনা এবং কাজে স্বচ্ছতা আনতে শেখান। কোনও ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই তাদের সমস্যাগুলি খোলাখুলিভাবে আলোচনা করা উচিত। ছোটবেলায় চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে দমিয়ে রাখা শিশুর বিকাশের জন্য ক্ষতিকারক।
ছোটবেলা থেকেই সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সাহস আপনার সন্তানের মধ্যে গড়ে তুলুন। সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে না গিয়ে সমাধান খোঁজার জন্য তাদের উৎসাহিত করুন। সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করুন, যাতে তারা সাহসের সাথে বাধা অতিক্রম করতে পারে।
শিশুরা কখন নেতিবাচক চিন্তাভাবনায় লিপ্ত হয় তা চিহ্নিত করতে সহায়তা করুন। এটি আত্ম-প্রতিফলন অনুশীলন, জার্নাল বা খোলামেলা কথোপকথনের মাধ্যমে হতে পারে। "আমি এটা করতে পারব না, আমি যোগ্য নই" বাক্যাংশগুলি লক্ষ্য করতে তাদের উৎসাহিত করুন। ব্যর্থতার ভয়, সহকর্মীদের চাপ বা কম আত্মসম্মানের মতো সাধারণ বাধাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। এই অনুশীলনগুলি অবশ্যই আপনার সন্তানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করবে।
ইনডোর বোর্ড গেম এবং আউটডোর গেম উভয়ই খেলতে আপনার সন্তানকে উৎসাহিত করুন। আপনার সময় থাকলে তাদের সাথে খেলুন। মন ব্যবহার করে খেলা আপনার সন্তানদের বুদ্ধিমান করে তোলে।
শরীর এবং মনের মধ্যে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখার জন্য, শিশুদের ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি উন্নত মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য। এটি জ্ঞানীয় কার্যকারিতা, সংবেদনশীল নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
আপনার সন্তানদের স্বাবলম্বী করে তুলুন। আপনার সন্তানের জন্য আপনি সর্বদা একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসাবে থাকবেন, তবে অন্যদের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে, সমস্যার জন্য তাদের নিজস্ব সমাধান খুঁজে পেতে তাদের উৎসাহিত করুন।
শিশুরা যদি পর্যাপ্ত ঘুম না পায়, স্বাস্থ্যকর খাবার না খায়, তবে তারা সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারবে না। তারা স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে এবং ভাল ঘুম পাচ্ছে তা নিশ্চিত করা উচিত।