সংক্ষিপ্ত

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সন্তানের পাশে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা ভীতি দূর করতে, পড়াশোনায় সাহায্য এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে মা-বাবার ভূমিকা অপরিসীম।

কদিন পরেই শুরু হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্য়মিক পরীক্ষা। হাতে মাত্র কটা দিন। এই সময় প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই সময় শুধু বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলেই হল না। দরকার শরীর সুস্থ রাখা। এই কঠিন সময় বাচ্চার সব থেকে বেশি প্রয়োজন তার মা-বাবাকে। জেনে নিন এই সময় কীভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন।

বাচ্চার ভয় যেন তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। পরীক্ষা নিয়ে ভীতি তৈরি হলে বাচ্চার পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাবে। যতই পড়ুক না কেন মাথায় থাকবে না। তাই এই দিকে খেয়াল রাখুন।

বাচ্চার যা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তা বোঝান। বাচ্চাকে বকাবকি করবেন না। কিংবা পড়া নিয়ে চাপ দেবেন না। হাতে সময় কম। তাই যা পড়ার বাকি তা দেখে নিন। যা সে বুঝতে পারবে না সে বিষয় বুঝিয়ে দিন।

পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন। এই সময় শুধু বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলেই হল না। দরকার শরীর সুস্থ রাখা। তাই সে সঠিক সময় ঘুমাচ্ছে কি না কিংবা ঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া করছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখুন।

প্রস্তুতি কেমন জানার জন্য পরীক্ষা নিন। বাচ্চার যে বিষয় প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে সে বিষয় পরীক্ষা নিন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

হাতে সময় কম। এই সময় বাচ্চার কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ দূরে রাখুন। এতে পড়ায় মন বসবে। এই দুই জিনিস হাতে পেলে তারই ক্ষতি।

রাত জেগে পড়লে শরীরের খেয়াল রাখুন বাচ্চার। অনেক বাচ্চা রাত জেগে পড়াশোনা করে। তারা দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। এই সময় শরীরের যত্ন নেওয়া দরকার। বাচ্চার শরীর খারাপ হয়ে গেলে সারা বছরের পরিশ্রম মাটি হয়ে যাবে। মেনে চলুন এই সকল টিপস। এতে মিলবে উপকার। এই সময় বাচ্চার বিশেষ খেয়াল রাখুন। তা না হলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।