এই ১০ কারণে মায়ের থেকে বাবার বেশি ভক্ত হন বাচ্চারা, জেনে নিন কী কী
- FB
- TW
- Linkdin
বাচ্চারা তাদের পরিবারের সাথে খুবই বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করে। তবে, মায়ের চেয়ে বাবাকেই ছোট বাচ্চারা বেশি আঁকড়ে ধরে। তার কারণও রয়েছে। প্রতি পরিবারের পারিপার্শ্বিকতা আলাদা এবং অনন্য। ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনুযায়ী বাচ্চাদের পছন্দ ভিন্ন হয়ে থাকে।
খেলার জন্য বাবা সেরা: সাধারণত প্রতিটি বাড়িতেই বাবা হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কমবেশি খেলাধুলায় আগ্রহী। বাইরে গিয়ে খেলা দেখা তাদের পছন্দ। রোমাঞ্চকর খেলায় অংশগ্রহণ করা, দেখা তাদের আনন্দের। আর ঠিক এই কৌতূহলী চোখের বাচ্চাদের কাছে বাবার এই দিকটি খুব পছন্দের। তাদের সাথে ভালোভাবে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
বাবা নিয়ন্ত্রণ করে না: দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং নিয়মানুবর্তিতার বিষয়টি এলে মায়ের চেয়ে বাবা একটু শান্ত থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বেশি স্বাধীনতা পাওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন। এর ফলে বাচ্চাদের কাছেও তারা খুব একটা নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মনে হয়।
রোমাঞ্চের জন্য বাবাই সেরা: রোমাঞ্চকর কাজকর্মের জন্য প্রথমে অনুমতি দেবেন বাবাই। বাচ্চারা যেন তাদের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসে সেটাই তাদের চান। গাছে চড়া হোক বা নতুন কিছু করা হোক, বাবার কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পায় বাচ্চারা। এতে বাচ্চাদের মনে বাবার প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়।
বাবা খুবই বাস্তববাদী: জীবন যে সব চ্যালেঞ্জ সামনে তুলে ধরে তা খুবই বাস্তবতার নিয়ে দেখেন বাবা। সমস্যা সমাধানের জন্য বাবার এই গুণটি বাচ্চাদের খুব পছন্দ। এই ধরণের পরিস্থিতি তাদের জীবনে এলে তারা যেন ভেবেচিন্তে কাজ করে সে বিষয়ে সাহায্য করেন বাবা। এতে কঠিন সময়ের সাথে মুখাবয়ব দিতে বাচ্চাদের সুবিধা হয়।
কখনও কখনও বাবা বডিগার্ড: বাচ্চাদের কাছে বাবা যেন একজন বডিগার্ড। যেখানেই যাক না কেন, বাবা আছেন পাশে এই ভাবনাটাই বাচ্চাদের মনে নিরাপত্তার একটা অনুভূতি তৈরি করে। কঠিন পরিস্থিতি বা কোন ভয়ের বিষয় এলে বাবা তা সামলে নেবেন এই বিশ্বাস থাকে তাদের।
বাবা-বাচ্চাদের আগ্রহ প্রায় একই: বাবা এবং বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত একই রকম আগ্রহ দেখা যায়। খেলাধুলা, অন্য কোন hobby বা টেকনোলজি যাই হোক না কেন, বাচ্চাদের সাথে আনন্দ করতে ভালোবাসেন বাবারা। এই সব কাজে মনোনিবেশ করার ফলে বাবার সাথে বাচ্চাদের একটি অনন্য সম্পর্ক তৈরি হয়।
বাচ্চাদের স্বাধীনতা দিতে বাবাই সেরা: সাধারণত বাবারা বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে তারা নিজেরাই সেটা সমাধান না করা পর্যন্ত সেটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। এটা হল বাচ্চাদের প্রতি বাবার দেওয়া স্বাধীনতা। এতে বাচ্চাদের নিজেদের ক্ষমতার উপর আস্থা আসে।
বাবার সাথে থাকে বিশেষ মুহূর্ত: সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে যাওয়া, খেলাধুলা বা অন্য যেকোন বিষয় হোক না কেন, বাবা থাকলে সেটা বাচ্চাদের কাছে একটা বিশেষ মুহূর্ত। বাবা এবং সন্তানদের এই বন্ধন যেন চিরস্থায়ী হয় তার জন্য তারা সব রকম প্রচেষ্টাই করে থাকে।
বাবার তামাশা বাচ্চাদের খুব পছন্দ: কখনও কখনও শাসক হয়ে ওঠা বাবার কিছু কিছু তামাশা বাচ্চাদের খুব পছন্দ হয়। এছাড়াও, বাবার তৈরি করা কিছু হাস্যকর পরিস্থিতি বাচ্চাদের হাসির কারণ হয়ে ওঠে। এই সব মুহূর্ত বাবা এবং সন্তানদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে।
বাবাই হলেন সবচেয়ে বড় আদর্শ: বাচ্চাদের কাছে প্রথম আদর্শ হলেন তাদের বাবা। জীবনের প্রতিটি ধাপে কিভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সম্পর্ক মজবুত করা, দায়িত্ব পালন করা এ সবকিছুই বাচ্চারা তাদের বাবার কাছ থেকে শিখে থাকে।