সংক্ষিপ্ত
প্রতিটি পিতামাতার কর্তব্য তাদের সন্তানদের এমন পরিবেশ প্রদান করা যা স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশকে সমর্থন করে। জানব প্রাথমিক অবস্থায় কীভাবে শিশুদের লালন-পালন করা উচিত।
Parenting Tips: একটি শিশুর জীবনের প্রাথমিক বছরগুলি, সাধারণত জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত, তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে শিশুর মস্তিষ্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ ঘটে যা তার ভবিষ্যত, শিক্ষা এবং আচরণের ভিত্তি স্থাপন করে। প্রতিটি পিতামাতার কর্তব্য তাদের সন্তানদের এমন পরিবেশ প্রদান করা যা স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশকে সমর্থন করে। জানব প্রাথমিক অবস্থায় কীভাবে শিশুদের লালন-পালন করা উচিত।
সঠিক পুষ্টি-
সঠিক পুষ্টি একটি শিশুর শারীরিক ও জ্ঞানীয় বিকাশে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে। আপনি যখনই আপনার শিশুকে খাওয়াবেন, নিশ্চিত করুন যে তার খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ। প্রাথমিক মাসগুলিতে, বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত, তবে তার পরে ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে আপনার শিশুর ডায়েট চার্ট বিশেষজ্ঞের থেকে তৈরি করে নিন।
সুস্থ ঘুম-
পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুকে ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন, যাতে আপনার শিশু আরও সতর্ক হতে পারে এবং আরও শিখতে পারে। এতে করে শিশুরা তাদের আবেগ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
সামাজিক যোগাযোগ-
আপনার সন্তানকে সামাজিক হতে শেখান। আসলে অনেক অভিভাবকই তার সন্তানকে কারও সঙ্গে মিশতে দেন না। এমন অবস্থায় তারা থাকে অন্তর্মুখী। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সন্তানকে পরিবার বা আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে উৎসাহিত করা জরুরি। আপনি তাদের পার্কে নিয়ে যান, বন্ধুত্ব করতে উত্সাহিত করুন। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। শিশুরা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।
নিঃশর্ত ভালবাসা এবং মানসিক নিরাপত্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শক্তিশালী মানসিক বন্ধন হল মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ভিত্তি। শিশুকে একটি প্রেমময় পরিবেশ প্রদান বিশ্বাস এবং মানসিক নিরাপত্তা তৈরি করে। আপনি যদি শিশুকে শারীরিক স্নেহ দেন, তার সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলেন, এই সমস্ত জিনিসগুলি শিশুর মধ্যে একনিষ্ঠতা এবং আত্মসম্মানবোধ তৈরি করে।
রেসপন্সিভ প্যারেন্টিং-
প্রতিক্রিয়াশীল প্যারেন্টিং প্রতিটি পিতামাতার দ্বারা অনুশীলন করা উচিত। পিতামাতার জন্য তাদের সন্তানদের চাহিদা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি ছোট শিশু তার চাহিদাগুলি আপনাকে বলার জন্য যথেষ্ট বুদ্ধিমান নয়। আপনার সন্তান ক্ষুধার্ত হোক বা সান্ত্বনা দরকার বা কথা বলতে চায়, প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাকে সাড়া দিন, আপনার সন্তানের চাহিদাকে মূল্য দিন। এটি শিশুর আত্ম-মূল্যবোধ বৃদ্ধি করে।