সংক্ষিপ্ত

  • বাদাম স্বাস্থ্য়ের পক্ষে খুব উপকারী
  • একমুঠ বাদাম ওজন বাড়ায় না, বরং কমায়
  • হার্টের মহৌষধী হল বাদাম
  • নিরামিষ প্রোটিনের ভাল উৎস এই বাদাম

গড়ের মাঠ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দু-টাকার বাদাম সঙ্গে নিয়ে প্রেম করার দিন গিয়েছেপ্রেম এখন অনেক 'স্মার্ট' হয়েছেযদিও হৃদয়কে ভাল রাখতে আজও বাদামের  কোনও জুড়ি নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা

বাদামের  অনেক গুণ বাদাম খেলেই কেউ মোট হয়ে যায় না বরং ডায়েটে একমুঠ বাদাম থাকা দরকার বলে মনে করছেন ডায়েটিশিয়ানরা ১০০ গ্রাম কাঁচা বাদামে ৭ শতাংশ জল, ২৫.৮ গ্রাম প্রোটিন, ১৬.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪.৭ গ্রাম সুগার, ৮.৫ গ্রাম ফাইবার, ফ্য়াট ৪৯.২ গ্রাম, যার মধ্য়ে স্য়াচুরেটেড ৬.২ গ্রাম, মনো আনস্য়াচুরেটেড ২৪.৪৩ গ্রাম, পলি আনস্য়াচুরেটেড ১৫.৫৬ গ্রাম, ওমেগা-৬ ১৫.৫৬ গ্রাম থাকে বাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে উচ্চমাত্রায় থাকে প্রোটিন, ফ্য়াট ও ফাইবার এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম হওয়ায় ডায়াবেটিকদের জন্য় বিশেষ উপকারী বাদাম কিন্তু নিরামিষ প্রোটিনের খুব ভাল উৎস তবে কাউর কাউর ক্ষেত্রে বাদামের এই প্রোটিন অ্য়ালার্জির কারণ হতে পারে উচ্চ মাত্রায় ফ্য়াট থাকে বাদামে, যার মধ্য়ে বেশিরভাগই মনো ও পলি আনস্য়াচুরেটেড ফ্য়াটি অ্য়াসিড নানান ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলসের খুব ভাল উৎস এই বাদাম এর মধ্য়ে থাকে বায়োটিন যা প্রেগনেনসির সময়ে খুব জরুরি

নিয়াসিন  যা  ভিটামিন-বি ৩   নামে পরিচিত, তা থাকে এই বাদামেএই ভিটামিন  হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমায়ভিটামিন-বি ৯   বা ফলিক অ্য়াসিড, ফোলেট থাকে বাদামে যা প্রেগনেনসির সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় খুব গুরুত্বপূর্ণ অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন-ই পাওয়া যায় বাদামে বাদামে থাকা থায়ামিন বা ভিটামিন-বি ১ হার্ট, মাসল  ও নার্ভাস সিস্টেমকে সঠিকভাবে কাজ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বাদামে ভাল মাত্রায় থাকে ফসফরাস, যা শরীরের টিস্য়ুগুলির বাড়বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ ভূমিকা নেয় বাদাম থেকে পাওয়া যায়  ম্য়াগনেশিয়াম, যা হার্টের রোগবিসুখ দূরে রাখতে ভাল কাজ করে এছাড়াও থাকে ম্য়াঙ্গানিজ, কপার যা হার্টকে সুরক্ষিত রাখে বাদামে থাকে উচ্চমাত্রায় অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট যার গুণাগুণ নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না সবশেষে বলে রাখা দরকার, উচ্চ মাত্রায় ফ্য়াট  ও ক্য়ালোরি সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে বাদাম অতএব নির্ভয়ে নিয়ম করে বাদাম খান প্রতিদিন অন্তত একমুঠ করে