সংক্ষিপ্ত
বিয়ের ৪ বছরই হল কিন্তু ব্যক্তিগত মুহুর্তগুলো আর আনন্দদায়ক নেই। যৌনতা যেন একটা কাজে পরিণত হয়েছে। অনেক সময় আপনি মেয়েদের অথবা ছেলেদের তাদের বন্ধুদের সঙ্গে এ ধরনের কথা বলতে শুনে থাকবেন। আপনিও হয়তো এ ধরনের কথা বলেছেন। প্রায়ই আমরা আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে এ ধরনের কথা খোলাখুলিভাবে বলে ফেলি। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে বলতে ভয় লাগে, তার মন খারাপ হয়ে যাবে, সে কিছু ভুল বুঝবে এই ভেবে আমরা চুপ থাকি, ভেতরে ভেতরে কষ্ট পাই। এখানে আমরা ৫ টি সহজ উপায় বলছি যার মাধ্যমে আপনি আপনার সঙ্গীকে হালকাভাবে বলতে পারেন যে এখন কিছু নতুনত্ব আনার সময় এসেছে।
আপনার ইচ্ছাগুলি ভাগ করে নিন
আপনার যৌন ইচ্ছাগুলি সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে কোন দোষ নেই। যখন আপনারা একে অপরের প্রতি বোঝাপড়া করেন এবং কোন রকম বিচার না করে, তখন যৌনজীবনে একঘেয়েমি নিয়ে কথা বলাও সহজ হয়ে যায়। এতে আপনাদের সম্পর্কে নতুনত্ব এবং গভীরতা আসতে পারে। আপনি বিছানায় সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন।
খোলা মনে কথা বলুন
যখনই যৌনজীবন নিয়ে কোন সমস্যা হয়, তার চেয়ে ভালো হল সঙ্গীর সঙ্গে সততার সঙ্গে কথা বলা। কোন সংকোচ ছাড়াই তাকে বলুন যে আপনি যৌনজীবনে একঘেয়েমি অনুভব করছেন। তাকে বলুন যে একসঙ্গে আমাদের এতে রোমাঞ্চ আনতে হবে। কথা বললেই দেখবেন আপনার সঙ্গী কতটা উৎসাহিত হয়ে উঠবেন কিছু নতুন চেষ্টা করার জন্য।
সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক জীবন নতুন করে শুরু করুন
প্রায়ই বিয়ের পর আমরা আমাদের ভেতরের রোমান্টিক মানুষটিকে চেপে রাখি। যৌনতা একেবারে একটা রোজকার কাজের মতো হয়ে যায়। তাই আবার আপনার ভেতরের রোমান্টিক মানুষটিকে জাগিয়ে তুলুন, সঙ্গীর সঙ্গে ডেটে যান এবং তারপর তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলুন। এতে শুধু যৌনজীবনেই রোমাঞ্চ ফিরে আসবে না, আপনাদের পারস্পরিক সম্পর্কও মজবুত হবে।
আলোচনার প্রস্তুতি আগে থেকেই করুন
আপনার মনের কথা সঙ্গীকে বলার আগে, নিজের সঙ্গে এই কথোপকথনের অনুশীলন করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কী বলতে চান এবং এতে ভয় বা সংকোচও কমবে। আপনি আপনার অনুভূতিগুলিকে আরও ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন
যদি আপনি মনে করেন যে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে কোন দম্পতি পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলা একটি নিরাপদ বিকল্প হতে পারে। এতে উভয়েরই নিজেদের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার একটি নিরাপদ মাধ্যম পাওয়া যাবে এবং সম্পর্কে উন্নতির পথ খুলে যেতে পারে। যদি আপনি আপনার মনের কথা মনে রাখেন তাহলে এর ফলাফল খারাপ হতে পারে। কারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোবাসা, বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবেও জড়িত। যদি এতে দূরত্ব আসে তাহলে অন্যান্য অনেক কিছু ভেঙে পড়তে শুরু করে।