সংক্ষিপ্ত

পড়াশোনার সময় খেলা করার অপরাধে প্রত্যেককে ওঠবোস করার শাস্তি দেন শিক্ষিকা। প্রত্যেক ছাত্র ওঠবোস করা শুরুও করে দিয়েছিল। তারপরেই ঘটল অঘটন।

'ভর দুপুরে রোদ্দুরে খেলছ কেন?' কড়া অভিভাবকের মতোই ধমক দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু, তারপরেই যে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটে যাবে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। মাত্র ১০ বছর বয়সি শিশুর জীবনে নেমে এল ঘোর অন্ধকার! 

-


ওড়িশার (Odisha) জাজপুর জেলার ওরালি গ্রামের সূর্যনারায়ণ নোডাল উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত ১০ বছর  বয়সি রুদ্রনারায়ণ শেঠি। তার বাড়ি ছিল ওরালি জেলার রাসপুর ব্লকে। স্কুলের ভেতরেই পড়ার সময়ে দুপুর ৩টে নাগাদ চড়া রোদে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল রুদ্রনারায়ণ। তা দেখেই ধমক দেন শিক্ষিকা। পড়াশোনার সময় খেলা করার অপরাধে প্রত্যেককে ওঠবোস করার শাস্তি দেন তিনি। প্রত্যেক ছাত্র ওঠবোস করা শুরুও করে দিয়েছিল। তারপরেই ঘটল অঘটন।

_

ওঠবস করতে করতেই মাটি লুটিয়ে পড়ল রুদ্রনারায়ণ। তড়িঘড়ি তাকে তুলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকারা। খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদেরও।  শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকলে মঙ্গলবার রাতে কটকের এস সি বি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। যদিও সেখানে পৌঁছনোর পরে চিকিৎসকরা জানান যে, ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে তার। ঘটনার জেরে বিচারের মুখে পড়ে গেছেন ওই শিক্ষিকা। গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।  

-

যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। রসুলপুর ব্লক শিক্ষা আধিকারিক (বিইও) নীলাম্বর মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত কোনও অফিশিয়াল অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেছেন, “যদি আমরা একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাই, তাহলে আমরা এর তদন্ত শুরু করব এবং যিনি বা যাঁরাই দোষী হোন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” আরেকদিকে, রসুলপুরের সহকারী ব্লক শিক্ষা আধিকারিক প্রভাঞ্জন পতি স্কুল পরিদর্শন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।


-

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।