সংক্ষিপ্ত
অনেক সময় সন্তান আসার পর সঙ্গীর মধ্যে দূরত্বও চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে, বন্ধন মজবুত করতে এবং সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আনতে আপনি এই সম্পর্কের টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন।
সাধারণত বিয়ের পর প্রথম সন্তান স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সাহায্য করে, তবে অনেক সময় সন্তান আসার পর সঙ্গীর মধ্যে দূরত্বও চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে, বন্ধন মজবুত করতে এবং সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আনতে আপনি এই সম্পর্কের টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন।
প্রথম সন্তানের জন্মের পর, দম্পতিদের বাচ্চাদের পরিচালনার তেমন অভিজ্ঞতা থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের পুরও মনোযোগ সন্তানের দিকে থাকে, যার কারণে একে অপরের জন্য সময় দিতে অক্ষম হয়। সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব দূর করে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর কিছু টিপস আজকে বলি।
এক সঙ্গে সময় কাটান-
সন্তানের আগমনের পরে, দম্পতিরা খুব কমই একসঙ্গে কাটাতে এবং একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় পান, যার কারণে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব আসতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের হাতে শিশুটিকে তুলে দিয়ে আপনার সঙ্গীকে সময় দেওয়া জরুরি। ঘরে যদি আর কেউ না থাকে, তাহলে সন্তান ঘুমিয়ে যাওয়ার পরেও সঙ্গীর জন্য সময় বের করে নিতে পারেন, যাতে তিনি তার গুরুত্ব অনুভব করবে।
ঘুমও গুরুত্বপূর্ণ-
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আপনার উভয়েরই পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াও প্রয়োজন। আসলে, শিশু রাতে বেশ কয়েকবার জেগে ওঠে, যার কারণে দম্পতির ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং ঘুমের অভাবে সারা দিন বিরক্তি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু সময় পর্যায়ক্রমে শিশুর যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে কারও ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে এবং উভয়েই ঘুমাতে পারে।
এক সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া-
যদি আপনার পক্ষে এটি সম্ভব হয়, তবে আপনি একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর জন্য একটি ঘোরার পরিকল্পনাও করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গী ও শিশুর সঙ্গে ভালো জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে উভয়কে বাড়ির কাজ এবং অন্যান্য লোকেদের থেকে বিরতি দেবে এবং আপনি নিজের জন্য কিছুটা সময় নিতে পারবেন। আপনি একটি কাছাকাছিও যেতে পারেন।
আপনারও যত্ন নিন-
সঙ্গী ও শিশুকে সময় দেওয়ার কারণে অনেক সময় মানুষ নিজের জন্য সময় বের করতে পারে না। এর কারণে নিজের মধ্যেই বিরক্তি শুরু হয়। যার কারণে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে নিজের জন্যও সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে কিছুক্ষণের জন্য আপনার প্রিয় শখ ফলো করতে পারেন। শুধু তাই নয়, সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন, এর ফলে সঙ্গী ও শিশুও খুশি বোধ করবে।