সংক্ষিপ্ত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকেরই শরীরেই পরিবর্তন হয়। তাই মিলনের আগে নিজের পার্টনারকে আকর্ষনীয় করার চেষ্টা করুন। মিলনের আগের ফোরপ্লের উপর বেশি গুরুত্ব দিন। দেখবেন এতে অনেক বেশি যৌনতাকে উপভোগ করতে পারছেন।

 

বছর ৫০ পেরিয়েছে। কিন্তু মনের মধ্যে হাজার চাহিদা যেন উথালপাতাল করছে। অনেকেই ভাবেন ৩০ পেরোনোর পরেই জীবনের সব যেন কেমন বুড়িয়ে যায়। আসলে এটা সম্পূর্ণ তাদের ভুল ধারণা। বরং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কিছুই যেন বাড়তে থাকে। অনেকেই ভাবেন ৫০ পেরানোর পর বা বয়স যখন ৪০-এর কোটায় তখন হয়তো যৌন জীবনের সুখ নেওয়া যায় না। কিন্তু এটা কি জানেন যৌবনের চেয়ে বয়সকালের মিলন অনেক বেশি মধুর হয়। গবেষণাতেও উঠে এসেছে এই তথ্য।

গবেষণায় উঠে এসেছে, ৫০-এর কোটায় বয়স্ক দম্পতিরা মিলনের পর কম বয়সিদের চেয়ে অনেক বেশি তৃপ্তি অনুভব করেন। এর পিছনেও রয়েছে একটা কারণ,এই সময়টাতে যৌবনের মতো অত জোর কারোরই থাকে না যার ফলে এই সময়টাতে আস্তে আস্তে যৌনক্রীড়ায় লিপ্ত হন। তবে ৫০ পেরিয়ে যৌনসুখ পেতে চাইলে সবার আগে নিজের মানসিকতাকে তিরিশ বছরের পর থেকেই পরিবর্তন করতে হবে। যেমন, কখনওই ভাববেন না শুধু কম বয়সেই যৌন জীবন দারুণ ছিল। বয়স যত বাড়ছে ততই আপনার সেই উদ্দামতা হারিয়ে যাচ্ছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকেরই শরীরেই পরিবর্তন হয়। তাই মিলনের আগে নিজের পার্টনারকে আকর্ষনীয় করার চেষ্টা করুন। মিলনের আগের ফোরপ্লের উপর বেশি গুরুত্ব দিন। দেখবেন এতে অনেক বেশি যৌনতাকে উপভোগ করতে পারছেন।

 

 

হাফ সেঞ্চুরি করার পরই যৌন চাহিদা আরও প্রকট হয়। এতে লজ্জার কোনও কারণ নেই। এতে সম্পর্ক আরও জোড়ালো হয়। তাই ৩০ পেরিয়ে গেলে নিজে সবার আগে পরিবর্তন হন। এবং আপনার সঙ্গীকে পরিবর্তন করুন। ৫০ এর পর মেনোপজ আর এই সময়টাই নাকি যৌনতা উপভোগের মোক্ষম সময় তেমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। মেনোপজের পর শরীরে অনেক সমস্যা দেখা যায়,গবেষণায় জানা গেছে সেই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে যৌনমিলনই। এতে শরীর ও মন দুইই ফিট থাকে। শরীর ফিট থাকলেই যৌনতার ইচ্ছা জাগে। নির্দিষ্ট বয়সের পর শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ যেমন বিরক্ত লাগা, খিদে কমে যাওয়া, কাজ করতে ভাল না লাগা, মুড সুইং দেখলেই ডাক্তারের কাছে যান এবং সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হোন। আর যাদের মনের প্রবল ইচ্ছা থাকে কিন্তু বয়সের দিকে তাকিয়ে সাহস করে উঠতে পারছেন না তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে সামান্য কয়েকটি খাবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনার পার্টনারকে। যেমন মধু, বাঁধাকপি, ডিম, কাঠবাদাম, পালং শাক, আঙুর ফল রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।