সংক্ষিপ্ত
ভালবাসেন সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে আপনি মুখ খুলতে পারছেন না। এই পরিস্থতিতে আমরা অনেকেই পরে থাকি। এই ধরনের সমস্যায় পড়লে কীভাবে সেই সমস্যার মোকাবিলা করবেন রইল তার টিপস।
বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকেই এখন ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু অনেকেই আছেন প্রেম করছিলেন কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়ে করতে প্রস্তুত নন। সঙ্গী বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে আর সেই প্রস্তাবে আপনি কিছু বলতেও পারছেন না। ভালবাসেন সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে আপনি মুখ খুলতে পারছেন না। এই পরিস্থতিতে আমরা অনেকেই পরে থাকি। এই ধরনের সমস্যায় পড়লে কীভাবে সেই সমস্যার মোকাবিলা করবেন রইল তার টিপস।
বিয়ের জন্য একজন প্রস্তুত থাকলে অপরজনকেও যে সেইমতো রাজি থাকতে হবে তেমনটা কখনই নয়। বিয়ের প্রসঙ্গে কথা উঠলে মাথা গরম করে ভুল কোনও ডিসিশন নেবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে দুজন বসে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিন। বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে আপনার যে আরও খানিকটা সময় দরকার সেটা বুঝিয়ে দিন আপনার পার্টনারকে। বিয়ে নিয়ে কথা উঠলে সমস্যার কথা নিজের মুখে খুলে বলুন। পরিবার, বন্ধুবান্ধবকে দিয়ে অযথা মিথ্যে কথা বলে সমস্যায় জড়াবেন না। নিজের কেরিয়ারে ফোকাস করতে চাইলে সেটাও সত্যি বলে দিন। আপনার কাছে কেরিয়ার না ব্যক্তিগত জীবন কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিজে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। একে অপরকে দোষ না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সকলের সামনে খোলাখুলি আলোচনা করুন।
পুরুষ ও নারী কেউ কারোর প্রতিযোগী হওয়া উচিত নয়। পুরুষ ও নারী একে অপরের পরিপূরক। নিজের পুরুষসঙ্গীকে যতটা পারবেন নিজের বশে রাখবেন। পুরুষদের দ্বারাই নারীরা নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসছে। তেমনই নারীদের উচিত পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা। প্রেমিকদের দ্বারা সর্বদাই প্রেমিকারা লাঞ্ছিত হয়ে আসছে। এবার আপনার পালা। অতিরিক্ত সম্মান দেখাবেন না। এতে ছেলেরা মেয়েদের দুর্বল ভাবেন। কখনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আলোচনা করবেন কিন্তু তার উপর নির্ভর হবেন না। বিয়ে সংক্রান্ত কোনও কথা নিজে মুখে বলবেন না। অনেকদিন সম্পর্কের পর সময় বুঝে তারপরই বিয়ের কথা বলুন। প্রেমের প্রস্তাব বা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবেন না। একটু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তারপরেই উত্তর দেবেন। আপনাকে দেখতে কেমন লাগছে, তা কখনওই নিজে জিজ্ঞাসা করবেন না, কারণ আপনিই সবথেকে ভাল জানেন আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে। নিজের ঘরের কাজগুলি যতটা পারবেন নিজে করুন। সঙ্গীর উপর নির্ভরশীল হওয়াটা খুব একটা ভাল কাজ নয়। প্রযুক্তি সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে নিজে আপডেটেড থাকুন। গ্যাজেট থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সমস্ত বিষয়ে নিজে আপডেটেড থাকুন। যতটা পারবেন এই বিষয়গুলি নিজে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করুন।নিজেকে সবথেকে বেশি ভালবাসুন। কখনও যদি সঙ্গী আপনাকে ছেড়েও দেয় ভেঙে পড়বেন না। নিজের প্রতি যত্নশীল হবেন, কিন্তু আত্মত্যাগী মনোভাব রাখবেন না। আপনার পুরুষসঙ্গীর বান্ধবীর প্রতি কোনও আগ্রহ দেখাবেন না। বিষয়গুলি নিয়ে অযথা মাথা ঘামাবেন না। পুরুষসঙ্গীর সামনে কখনওই কাঁদবেন না। নিজেকে সংযত করতে না পারলে অন্য ঘরে চলে যান। এতে আপনার প্রতি সঙ্গীর সম্মান বাড়বে। এবং আপনার সঙ্গীও আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।