সংক্ষিপ্ত
সঙ্গীকে আলিঙ্গন করা শুধুমাত্র একটি সুন্দর অনুভূতিই নয়। অনেক সময় যা কথায় প্রকাশ করা যায় না, সেই অনুভূতিকে ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করে বোঝানো যায়। জেনে নিন আলিঙ্গন করার নানান সুফল
Hug Day-এর বিশেষ দিনে, আপনার সঙ্গী ছাড়াও, বাবা-মা, সন্তান, ভাই-বোন বা বন্ধুদেরও একটি প্রেম-ময় আলিঙ্গন করা উচিত। কাউকে আলিঙ্গন করলে শুধু মন ভালো থাকে না, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।
Hug Day পালিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে। একজন সঙ্গীকে আলিঙ্গন করা শুধুমাত্র একটি সুন্দর অনুভূতিই নয়, এটি অনুভূতি প্রকাশের একটি ভালো উপায়ও বটে। অনেক সময় যা কথায় প্রকাশ করা যায় না, সেই অনুভূতিকে ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করে বোঝানো যায়। জেনে নিন আলিঙ্গন করার নানান সুফল
১)মানসিক কানেকশন বাড়ায়-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রত্যেকেরই কিছু মাত্রার অ্যালেক্সিথিমিয়া রয়েছে - আপনার অনুভূতিগুলি সনাক্ত করতে বা তা জানাতে যদি অক্ষম। যাই হোক, আলিঙ্গন করা এবং গ্রহণ করা উভয়ই আপনাকে আপনার আবেগগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে এবং আপনার সংগ্রাম সম্পর্কে আরও খোলামেলা হতে সাহায্য করতে পারে। এটি যে কোনও সম্পর্কের সঙ্গে অপরদিকে থাকা মানুষটির মনের ভাব বুঝতে সাহায্য করে।
২) আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
আত্মবিশ্বাস স্বাস্থ্যের একটি মূল উপাদান, যা আপনাকে নিজেকে যত্ন নেওয়ার যোগ্য হিসাবে দেখতে সহায়তা করে। প্রিয় মানুষদের আলিঙ্গন এবং তার প্রভাব আপনার আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি বাড়ানোর এবং আপনার স্বাস্থ্যের কাজ করার সম্ভাবনা তৈরি করার একটি নথিভুক্ত উপায়।
৩) রাতের ঘুম ভাল হয়-
টাচ টেস্ট সমীক্ষায় যারা প্রতিক্রিয়া থেকে জানা গিয়েছে, যে ঘুমের আগে সঙ্গীর আলিঙ্গন তাদের ঘুমের উপর পজেটিভ প্রভাব ফেলে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে অনেক দম্পতি আলিঙ্গনকে তাদের শয়নকালের রুটিনের একটি অপরিহার্য অংশ বলে মনে করেন। এর একটি কারণ? "অক্সিটোসিনের বর্ধিত মাত্রা আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং আরও ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
৪) মানসিক স্বাস্থ্য ভালো-
আপনি যদি প্রায়ই আপনার সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন বা তিনি আপনাকে আলিঙ্গন করেন, তাহলে এর মানে হল যে আপনি উভয়েই একে অপরকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। এর ফলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৫) শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা -
সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়মিত আলিঙ্গন করেন তারা ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর কারণ আলিঙ্গন আপনার ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতে সাহায্য করে, স্ট্রেস কমায় এবং আপনার মানসিক সুস্থতার উন্নতি করে, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬) টেনশন চলে যায়-
সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশেষ কাউকে জড়িয়ে ধরলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। আলিঙ্গন করলে যেমন টেনশন দূর হয়, তেমনি ব্যক্তির স্মৃতিশক্তিও প্রখর হয়। অতএব, এই দিনে, অবশ্যই আপনার সঙ্গী-বন্ধু বা প্রিয় মানুষদের আলিঙ্গন করুন।
৭) হার্টের জন্য উপকারী-
আলিঙ্গন শরীরে ভালোবাসার হরমোন অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ায়। এতে হার্ট সুস্থ থাকে। শুধু তাই নয়, আলিঙ্গন রক্তচাপও কমায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রায়ই তাদের সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরেন, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮) সম্পর্ক মজবুত করে-
আমাদের অতি-সংযুক্ত প্রযুক্তি জগতে কানেকশনের অভাব নেই বলে মনে হতে পারে। কিন্তু শারীরিক স্পর্শ অন্যদের সঙ্গে একটি অনন্য এবং অপরিহার্য ধরনের কানেকশন প্রদান করে, বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি দম্পতিদের জন্য বিশেষভাবে সত্য। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর থেকে দূরত্ব বোধ করেন তবে কিছু সময় হাগ করুন, এটা শুধু একটি ভাল সম্পর্কই নয়, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকেও ভালে রাখে।
৯) মেজাজ ভালো থাকে-
গবেষণা অনুযায়ী, আলিঙ্গন মেজাজকে সতেজ রাখে। আসলে, আপনি যখন কাউকে আলিঙ্গন করেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক বেশি সেরোটোনিন হরমোন তৈরি করে, যা আপনার মেজাজ ভালো রাখে। এ ছাড়া আলিঙ্গনের পর কাজ করার ক্ষমতাও বাড়ে।