সংক্ষিপ্ত
যৌন সঙ্গমের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে বেশ কিছু কঠিন সমস্যা। কারণ যত দিন যাচ্ছে স্পার্ম কাউন্ট ক্রমশ কমছে। যা ভবিষ্যত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শুক্রাণু সংখ্যা হ্রাস। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ৬ জন পুরুষের মধ্যে ১জনের এই সমস্যা রয়েছে।
সম্পর্কের গাঢ় বন্ধন মানেই যৌন মিলন। কিন্তু যৌন সঙ্গমের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে বেশ কিছু কঠিন সমস্যা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্পার্ম কাউন্ট হ্রাসের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। আর এই সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা সকলেই হতাশ হয়ে পড়ছেন বিষয়টি নিয়ে। কারণ ভবিষ্যত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস। সমীক্ষা বলছে, গড়ে ২০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। আর এর প্রধান কারণ হল খাদ্যাভাস।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা যেমন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে, তেমনই তা শরীরের পক্ষেও ভীষণ ক্ষতিকর। এতে দেহের এনার্জি যেমন নষ্ট হয় তেমনই শুক্রাণু তৈরির ক্ষমতা কমে যায়। শরীরচর্চা যেমন মাস্ট, তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খান, দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে যা যা দরকার, সেগুলি বেশি করে করুন সম্ভব। আর তাতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমীক্ষা বলছে, শরীরচর্চা করলে এবং ওজন কমালে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। প্রতিদিন যদি ৫০ মিনিট যদি অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা যায়, তা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। একদিন নয়, বরং একটানা ১৬ সপ্তাহ এভাবে শরীরচর্চা করলে তবেই হাতেনাতে মিলবে ফল। তার সঙ্গে অবশ্যই চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম।ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা প্রায় সকলেই জানেন। যৌনমিলনের সময় সঙ্গীকে সুখ দিতে চাইলে আজ থেকেই ধূমপানকে বিদায় জানান। কারণ এটিতেও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়। তবে শুধু ধূমপানই নয়, এর পাশাপাশি মদ্যপানও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লিভার, ক্যানসারের মতো রোগ ছাড়াও এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে আপনার যৌনজীবনেও।
গবেষণা বলছে, নিয়মিত মদ খেলেও স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। বীর্যের গুণাগুণও ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যায়। এমনকী আপনাকে নপুংষকেও পরিণত করতে পারে। গবেষণা বলছে, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত ট্যাবলেট বা ক্যালসিয়াম-যুক্ত খাবার শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করে। তবে নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। টুনা মাছ, শোর্ড ফিস, এই ধরণের মাছ পুরুষদের খাদ্যতালিকায় যতটা পারবেন কম রাখুন। এই মাছগুলি খেলে ফার্টিলিটি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেশি থাকে। দুগ্ধজাত বা ডেয়ারি প্রোডাক্ট শরীরের জন্য উপকারি হলে ও তাতে অনেক ফ্যাট থাকে। ঘি, মাখন, চিজ এগুলো পরিমাণে কম খাওয়াই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। প্যাকেটজাত খাবার যতটা পারবেন কম খান, কারণ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্যাকেটজাত খাবার শরীরের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ভাজা খাবার থেকে দূরে থাাকর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এতে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে।