সংক্ষিপ্ত

যৌনতা পরবর্তী যত্ন- এটি ব্যক্তিগত পছন্দ ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। এটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া।

 

সেক্সুয়াল আফটার কেয়ার বা যৌনতা পরবর্তী যত্ন- এটি যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, এটি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরও দৃঢ়় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিঙ্গ নির্বিশেষে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। যৌন সম্পর্ক দুটি মানুষকে শারীরিক ও মানসিক তৃপ্তিদেয়। কিন্তু এই সম্পর্ক অনেকক্ষণ স্থায়ী হতে পারে শুধুমাত্র সেক্সুয়াল আফটার কেয়ার যদি ঠিকমত হয়।

যৌনতা পরবর্তী যত্ন- এটি ব্যক্তিগত পছন্দ ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। এটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া। এটি স্পর্শ, আলিঙ্গন, কথা বলা, খাবার ও পানীয় পান করা সবকিছুর ওপরেই নির্ভর করে। এমনকি দুইট মানুষের পাশাপাশি উপস্থিতিও অনেক সময় যৌনতা পরবর্তী যত্ন হতে পারে।

মূল ধারনাই হল সঙ্গীকে বিশ্বাস করা। সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। যেখানে দুটি মানুষের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। এটি সম্পর্কের আরও শক্তিশালী বন্ধন।

যৌন পরবর্তী যত্ন কেন গুরুত্বপূর্ণঃ

যৌনক্রিয়ায় যুক্ত দুই সঙ্গী বা সহযোগীর মধ্যে নিরাপদ স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। যৌনতা নিখুঁত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশ্বাস আর ঘনিষ্টতা বাড়ায়। এটি যৌনতা নিয়ে দুশ্চিন্ত কমাতে পারে। ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটসের মত নৈমিত্তক সম্পরের ক্ষেত্রেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও প্রতিশ্রুতিবব্ধ সম্পর্ক নাও হতে পারে। কিন্তু যৌনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই আফটার কেয়ার। এটি এমন একটি ক্রিয়া যেখানে দুই সঙ্গী একে অপরকে বুঝতে পারে। তাদের চাহিদা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে। যৌনতায় পরিপূর্ণ আনন্দ উপভোগ করা আর সেই রেশ ধরে রাখার জন্য যৌনতা পরবর্তী যত্ন গুরুত্বপূর্ণ।

যৌন আফটার কেয়ার, যৌনতা পরবর্তী যত্ন যেকোনও নেতিবাচক অনুভূতি বা বিরক্তি প্রতিরোধ করতে পারে। সম্পর্কের প্রকৃতি যাই হোকনা কেন এটি দুজনেরই সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যৌন মিলন শুধুমাত্র শরীরের নয়, মানসিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই যৌনতার পরই সঙ্গীর পাশে থাকা একটি ভাল দিক হতে পারে।

যৌন আফটার কেয়ারের কেমন হতে পারেঃ

যৌন আফটার কেয়ার নানা ধরনের হতে পারে। এটি শারীরিকের থেকেই বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারে মানসিক ক্ষেত্রে।

১. যৌনতার পরেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরা

২. মৌখিক নিশ্চয়তা দেওয়া বা সঙ্গীর প্রশংসা করা

৩. অ-যৌন ক্রিয়াকলাপ- যেমন সিনেমা দেখা বা গান শোনা, গেম খেলাও হতে পারে।

৪. মানসিকভাবে কেমন অনুভব করছেন তা একে অপরকে জানান

৫. যৌতার পর সঙ্গীর উদ্বেগ বা নেতিবাচক আবেগ অনুভব করলে তাঁকে অবশ্যই মানসিক সমর্থন দেওয়া।