সংক্ষিপ্ত
অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ স্বামী বা স্ত্রী কারও জন্যই ভালো নয়। সংসারের শান্তি বজায় রাখতে স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারেন, তাই বলে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না।
স্বামীর খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক স্ত্রীই একটু বেশি কঠোর হয়ে পড়েন। সেটাই হয়ত পছন্দ করেন না স্বামীরা। তাঁরা কী খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, সেই নজরদারি করতে গিয়ে স্ত্রীরা অনেক সময়ই রাগও দেখান। এই নিয়ে খুটখাট মনোমালিন্যও লেগে থাকে দুজনের। আর নজরদারি বেশি হলেই গেল! তবে জানেন কী আখেরে এই নজরদারি এড়িয়ে গেলে ক্ষতি বেশি হয় স্বামীরই। সমীক্ষা বলছে বউয়ের কথা শুনে যদি চলেন, তবে আয়ু বাড়বে স্বামীর।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ স্বামী বা স্ত্রী কারও জন্যই ভালো নয়। সংসারের শান্তি বজায় রাখতে স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারেন, তাই বলে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না। কারণ অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে সংসারে অশান্তি দেখা দিতে পারে। এর থেকে মানসিক চাপ আরও বাড়ে, যা স্বাস্থ্যেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই দুজনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াতেই গড়ে উঠুক সুখের সংসার।
তবে তারই মাঝে আপনি স্ত্রীর কথা মেনে চলেন তাহলে কিন্তু আপনি দীর্ঘায়ু হবেন। এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। যেসব পুরুষরা তাদের স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে বা বশে থাকেন তারাই নাকি স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হন। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির (এমএসইউ) সমাজবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে করা একটি সমীক্ষা দেখা গেছে, স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। এমন পুরুষরা দীর্ঘজীবীও হন অন্যদের চেয়ে বেশি।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিউ বলেন, 'বেশিরভাগ স্ত্রীই তার স্বামীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান। নিয়মিত স্বামীর স্বাস্থ্যের নজরদারি করেন তারা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকেও অনেক স্বাস্থ্য সচেতন স্ত্রীরা খেয়াল রাখেন। এর ফলেই সুস্থ থাকেন স্বামী। যদিও অনেক স্বামীই স্ত্রীর এমন শাসন পছন্দ করেন না। তবে এতে কিন্তু লাভ পুরুষেরই।'
গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭-৮৫ বছর বয়সী ১২২৮ জন বিবাহিত ব্যক্তির উপর করা হয়েছিল। গবেষণায় আরও দেখা যায়, একটি অসুখী বিবাহ খারাপ স্বাস্থ্য ও কম দীর্ঘায়ুর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে সুখী পরিবারের দম্পতিরাও স্বাস্থ্যগতভাবে সুস্থ থাকেন ও দীর্ঘজীবী হন।