সংক্ষিপ্ত
সুখী দাম্পত্যের জন্য স্বামী ও স্ত্রীর বোঝাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজন স্বাস্থ্য়কর যৌনজীবন। তবে সঙ্গমের মুহূর্তে যেন হারিয়ে যাচ্ছে প্যাশন। কীভাবে একঘেয়েমি যৌনজীবনে ফিরিয়ে আনবেন পুরোনো রোম্যান্স, দেখে নিন একনজরে।
যৌনমিলন শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক দিক থেকেও রিলেশনশিপকে আরও মজবুত করে তোলে। কিন্তু যৌনতার তৃপ্তির কথা শুনলেই ঘাম ছুটে যায় আম-বাঙালির। আজও যৌনজীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পায় ৯০ শতাংশের বেশি বাঙালি। সেক্স-কে আজও বাঙালি এক ট্যাবু হিসাবেই দেখে যায়। তবে সম্পর্কের গাঢ় বন্ধন মানেই যৌন মিলন। কিন্তু দীর্ঘদিন বাদে একে অপরের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হলেই সেই সম্পর্কে যেন একটা দুরত্ব চলে আসে। গবেষণা বলছে, সুস্থ জীবন-যাপনের জন্য যৌনমিলন করা অত্যন্ত জরুরি।
সম্পর্ককে মজবুত করতে মানসিক ভাবে সংযুক্তির বিশেষ প্রয়োজন। যৌনতা এমনই একটা জিনিস যা নিয়ে অনেকেরই অনেক ফ্যান্টাসি রয়েছে। একেকজন একেকরকমভাবে যৌনতাকে উপভোগ করে। যৌনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভবে জড়িয়ে রয়েছে সম্পর্ক। সুখী দাম্পত্যের জন্য স্বামী ও স্ত্রীর বোঝাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজন স্বাস্থ্য়কর যৌনজীবন। তবে সঙ্গমের মুহূর্তে যেন হারিয়ে যাচ্ছে প্যাশন। অনেকের সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি চলে এসেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি থাকতে থাকতে আসছে মানসিক হতাশা, ক্লান্তি। যার থেকে ক্রমশ বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা। সম্পর্কের একঘেয়েমি থেকেই মুক্তির স্বাদ খুঁজছে অনেকেই।
যৌনজীবনকে আরও বেশি করে রোম্যান্টিক করে তুলতে প্রতিদিন নতুন নতুন ট্রিকস কাজে লাগান। যেমন ক্লাসিক মিশনারি করতে কখনও বিরক্ত হবেন না। এতে আরও অনেককিছু উপভোগ করতে পারবেন। সেক্সের সময় আনন্দটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। তবে সেই জায়গায় পৌঁছানোটাই হল আসল মজা। তাই ফ্লোর প্লে-এৎ উপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সেক্স তুলতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই যতটা পারবেন ফ্লোর প্লে-এর মাধ্যমে মুডটাকে চেঞ্জ করুন। এতে রোম্যান্সও যেমন বাড়বে তেমনই সঙ্গমের চাহিদাও আরও প্রকট হবে। সঙ্গমের সময়টাতে আরও অন্য়রকম ভাবে উপভোগ করতে চাইলে যৌনমিলনের সময়টাতে একে অপরের সঙ্গে নানা রকমের কথা বলুন। সেক্স তোলার জন্য অন্য কিছু ট্রিকসও কাজে লাগাতে পারেন। সেক্সের অনেক রকমের ধরণ আছে। আপনার সঙ্গী কোন ধরনের সেক্স পজিশন পছন্দ করেন সেটার উপর বেশি গুরুত্ব দিন। একঘেয়েমি বিছানা ছেড়ে বাড়ির অন্য কোন জায়গায় যৌনমিলনে মেতে ওঠেন। যৌন মিলনের সঙ্গে নিজেরটা না ভেবে সঙ্গীনির চাহিদাগুলো বেশি করে মাথায় রাখুন। আপনার সঙ্গী আপনার কোনও জিনিসটার প্রতি আসক্ত হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রেখে নিজেকে পরিবর্তন করুন।