সংক্ষিপ্ত
প্রেমিক বা প্রমিকাকে স্বামী বা স্ত্রী বানানোর আগে অবশ্যই এই ১০টি বিষয়ে নিয়ে কথা বলুন। বিষয়গুলি নিয়ে নিজের মতামত জানান। পাশাপাশি সঙ্গীর মতামত শুনুন।
প্রেম করছেন। বিয়েও করতে চান । প্রেমিক বা প্রমিকাকে স্বামী বা স্ত্রী বানানোর আগে অবশ্যই এই ১০টি বিষয়ে নিয়ে কথা বলুন। বিষয়গুলি নিয়ে নিজের মতামত জানান। পাশাপাশি সঙ্গীর মতামত শুনুন। তারপরই বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। ১০টি বিষয় হলঃ
১. বিয়ের পরে থাকার ব্য়বস্থা
এই প্রশ্নটি ভারতীয় মহিলাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদেরও ঠিক করতে হবে তারা বিয়ের পর যৌথ পরিবারের থাকবেন না স্বামীর সঙ্গে একা একা থাকবেন। এই বিষয়ে যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তার মতমাত জানা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন দাম্পত্য সম্পর্ক অনেক সময়ই ভেঙে যায় এই সমস্যার সমাধান করতে না পারার জন্য।
২. স্থান পরিবর্তন
বিয়ের পরে কেউ যদি চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্র ভাল সুযোগ পান তাহলে অন্যজন সঙ্গীর সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করতে রাজি কিনা। এটিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী ব প্রেমিক প্রেমিকা দুজনেই কাজ করেন। পেশাগত করাণে স্থান পরিবর্তন কতটা সম্ভব তাও জেনে নেওয়া জরুরি।
৩. ঘরের কাজ
নরী-পুরুষ উভয়ই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই অবস্থায় ঘরের নিত্যদিনের কাজের কী হবে। তা নিয়েও দুজনে পরিষ্কার করে কথা বলা জরুরি। কারণ সংসারের কাজ ভাগ করতে নিতে হবে। নাহলে সমস্যায় চিড় ধরতে পারে।
৪. সন্তান
সন্তান অপনি বা আপনার সঙ্গী চান কিনা তাই নিয়েও দুজনের খোলামনে আলোচনা করার জরুরি। কারণ এখন অনেকেই রয়েছেন যারা কাজের জগতের ব্যস্ততার জন্য সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না। এক্ষেত্রে দুজনের মতের মিল না হলেও কিন্তু সমস্যা অনিবার্য।
৫. আচরণ
সংসারের ক্ষেত্রে দুজনের আচরণ কী হবে। দুজনের কন্ট্রিবিউশন কী হবে তা নিয়েও আগে থেকে আলোচনা করা জরুরি। কারণ সংসার শুরু হয়ে যাওয়ার পরে কোনও কিছুই আর ব্যক্তিগত থাকে না। সবটাই দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
৬. আর্থিক অবস্থা
বিয়ের পরে আর্থিক অবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসষ। কারণ সংসারে কে কতটা আর্থিক অবদান রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। কারণ বর্তমান সময় অধিকাংশক্ষেত্রেই নারী ও পুরুষ দুজনেই উপার্জন করেন। যেক্ষেত্রে দুজনের টাকা নিয়ে আগে থেকেই একসঙ্গে প্ল্যান করা জরুরির।
৭. অতীত
প্রেমিক বা প্রেমিকার দুজনের কারও যদি কোনও অতীত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই কথা শেয়ার করা জরুরি। কারণ অতীত যদি পরে সামনে আসে তাহলে বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়। অনেক সময় তা সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ী হয়ে যায়।
৮. নিজের সম্পর্কে
নিজের অভ্যাস, চাহিদা এগুলি সম্পর্কে আগে থেকেই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। কারণ দুজনের সম্পর্কে আগে থেকে কিছুটা না জানা থাকলে সংসার শুরু হওয়ার পরে বা বিবাহিত জীবনের শুরুতে তাতে সমস্যা হবে। প্রথমেই যদি সম্পর্কে চিড় ধরে তাহলে তা বাড়তেই থাকে।
৯. পছন্দ
আপনি আপনার পছন্দ গুলি অবশ্যই সঙ্গীকে জানান। আপনার খাওয়া থেকে শুরু করে স্বভাব সবই সঙ্গীকে বলুন। পাশাপাশি সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দ সব কিছুই জানুন।
১০. শখ-আহ্লাদ
প্রতিটি মানুষ আলাদা, কিন্তু প্রত্যেক দম্পতির তাদের একত্রিত করার জন্য একটি সাধারণ শখ বা একটি বিনোদন প্রয়োজন। তবে কে কিভাবে নিজের শখ মেটাতে পছন্দ করে তাও আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।