সংক্ষিপ্ত
- দেশের প্রতিটি শিল্প আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে
- প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মুনাফার রেকর্ড গড়ল রিলায়েন্স
- সংস্থার রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশেরও বেশি
- তিন মাসে রিলায়েন্স সংস্থার মোট মুনাফার পরিমান দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা
আর্থিক সঙ্কটের মুখে দেশীয় অর্থনীতি। দেশের প্রতিটি শিল্প আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মুনাফার রেকর্ড গড়ল রিলায়েন্স। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া তিন মাসে রিলায়েন্স সংস্থার মোট মুনাফার পরিমান দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। এর আগে এই বিপুল পরিমান লাভ করেনি মুকেশ আম্বানির সংস্থা। আরআইএল সংস্থাও ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে লাভ করেছিল ১০ হাজার ২৫১ কোটি। অর্থাৎ এক বছরে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের নিরিখে সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৫৫ শতাংশ টাকা।
আরও পড়ুন- মাত্র ৭ হাজার টাকায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর-এর সুবিধা, রইল বিস্তারিত তথ্য এই স্মার্টফোনের
শুক্রবার আরআইএল-এর তরফে প্রকাশিত এক বিশেষ বিবৃতিতে জানা গিয়েছে,১ ডিসেম্বরের শেষে আম্বানি সংস্থার বকেয়া ঋণের পরিমান বেড়ে হয়েছে ৩০ লক্ষ ৬৮৫১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অবধি সেই বকেয়া ছিল ২৮ লক্ষ ৭৫০৫ কোটি টাকা। ঠিক এক বছর আগে রিলায়েন্স সংস্থার আয় হয়েছিল ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক প্রভাবের ফলে এই সংস্থা সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। মুকেশ আম্বানির সংস্থার অর্ডার টু ক্যাশ ব্যবসা থেকে আয় ১০.৬ শতাংশ কমে যাওয়াও এর মূল কারণ বলে জানিয়েছে সংস্থা।
আরও পড়ুন- আধারের এই কাজটি না করলে মিলবে না সরকারি পরিষেবা, জেনে নিন এখনই
আরআইএল-এর বিবৃতির থেকে এও জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স সংস্থা তাদের রিটেল ব্যবসা ও টেলিকম ব্যবসার ফলেই এই বছরে রেকর্ড সংখ্যক মুনাফা করেছেন। এর ফলে সংস্থার রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশেরও বেশি। রিলায়েন্স জিও থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ। একইভাবে শুধুমাত্র রিটেল ব্যবসা থেকেই তাদের মুনাফা হয়েছে ৪৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ৩৫ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ রিটেল ব্যবসা থেকে এক বছরে মুনাফার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭.৪ শতাংশ।