সংক্ষিপ্ত
শীতে ত্বককে টান টান রাখতে বিউটিশিয়নরা ওয়াটার বেসড ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার না করে, অয়েল বেসড ময়েশ্চরাইজার (Moisture) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চরাইজার তো কিনলেনই, জেনে নিন তা লাগাবেন কখন। ভালো ফল পেতে, সঠিক সময় ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। জেনে নিন ময়েশ্চরাইজার লাগানোর সঠিক সময়।
শীত মানে সর্দি-কাশির সমস্যার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা। শীতের (Winter) মরশুমে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই সময় ত্বক ফাটা সাধারণ বিষয়। ত্বকের (Skin) সমস্যায় এই সময় সকলেই ভোগেন। আমাদের এক এক জনের ত্বক (Dry), এক এক রকম। কারও ত্বক শুষ্ক, কার তৈলাক্ত (Oily) কিংবা কারও সেনসিটিভ (Sensitive)। তবে, এই মরশুমে ত্বক ফাটার সমস্যায় ভোগেন সকলেই। সমস্যা থেকে নিষ্পত্তি পেতে সকলেই ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করি। ময়েশ্চরাইজারের গুণে ত্বকের এই রুক্ষ ভাব দূর হয়। শীতে ত্বককে টান টান রাখতে বিউটিশিয়নরা ওয়াটার বেসড ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার না করে, অয়েল বেসড ময়েশ্চরাইজার (Moisture) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চরাইজার তো কিনলেনই, জেনে নিন তা লাগাবেন কখন। ভালো ফল পেতে, সঠিক সময় ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। জেনে নিন ময়েশ্চরাইজার লাগানোর সঠিক সময়।
সকালে ঘুম থেকে ত্বক পরিষ্কার করেন অনেকেই। তারপরই ময়েশ্চরাইজার (Moisturizer) লাগান। ময়েশ্চারাইজার যদি অ্যাভোকাডো অয়েল, মিনারেল অয়েল, প্রিম রোজ অয়েল, আমন্ড অয়েল বেসড ক্রিম লাগান। এতে ত্বক ফাটার সমস্যা দূর হবে।
স্নানের পর লাগাতে পারেন ময়েশ্চরাইজার। স্নানের সময় ত্বক পরিষ্কার করেন সকলে। এরপরই লাগান ময়েশ্চরাইজার। স্নানের পর ত্বকের সর্বোচ্চ আর্দ্রতা থাকে। এই সময় ত্বক হাইড্রেটেড (Hydrate) করুন। এমনকী, দাড়ি কাটার পরও ময়েশ্চর লাগানো দরকার। এই সময় ত্বকে জ্বালা অনুভব করেন অনেকে। তারপর লাগাতে পারেন ময়েশ্চরাইজার।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চর লাগানো ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাতে ঘুমানোর সময় ত্বকের সকল ঘাটতি পূরণ হয়। তাই ঘুমানোর আগে ময়েশ্চর (Moisture) লাগিয়ে ঘুমান। এতে ত্বক নরম থাকবে।
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকা থেকে শরীরচর্চা- নজর থাক সর্বত্র, শীতে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা
ত্বক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চর লাগাবেন। ত্বক পরিষ্কার করলে রোমকূপের মধ্যে থেকে সকল নোংরা বের হয়ে যায়। এই সময় ত্বক কিছুটা শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় অবশ্যই ময়েশ্চর লাগান।
শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন। দইয়ের প্যাক লাগাতে পারেন। দই ও মধু শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী। এই সময় দই ও মধু (Honey) দিয়ে প্যাক বানান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এছাড়াও, লাগাতে পারেন দুধের সর। দুধের সর ত্বকের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখে।