সংক্ষিপ্ত
- সবজি হিসেবে যেমন কাঁচা পেপে, ফল হিসেবে তেমন পাকা পেঁপে
- পাকা পেঁপের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না
- ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আর কোষ্ঠকাঠিন্য়ে দারুণ কাজ করে
- এর ক্য়ারোটিনজাতীয় অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রেস কমায়
পাকা পেঁপের উপকারিতা অনেক। সবজি হিসেবে যেমন কাঁচা পেপে উপকারী, ফল হিসেবে ঠিক ততটাই উপকারী পাকা পেঁপে। মোটামুটি ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি পাকা পেঁপে থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৬০ ক্য়ালোরি। কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় ১৫ গ্রাম। ফাইবার ৩ গ্রাম। প্রোটিন ১ গ্রাম। এতে থাকে ভিটামি-সি, ভিটামি-এ, ফোলেট বা ভিটামিন-বি-৯, পটাশিয়াম। খুব অল্প পরিমাণে হলেও থাকে ক্য়ালশিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, ভিটামিন-বি-১, বি-৩, বি-৫, ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-কে।
এতে থাকে ক্য়ারোটিনয়েডজাতীয় অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। পেঁপেতে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ভুলে যাওয়ার রোগ অ্য়ালজাইমার প্রতিরোধেও কাজ করে ভাল। পেঁপেতে থাকা লাইকোপিন ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমায়। ক্য়ানসারের আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন, এই ধরনের মানুষজনেরও পক্ষেও পাকা পেঁপে খুব উপকারী। ক্য়ানসার কোষের বৃদ্ধির হারকেও কমিয়ে দেয় এই পেঁপে। ব্রেস্ট ক্য়ানসার কোষের ওপর ক্য়ানসার প্রতিরোধী কাজ করতে পারতে পেঁপে। পেঁপেতে থাকা লাইকোপিন হার্ট ডিজিজকে প্রতিরোধ করে। পেঁপেতে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপিন শরীরের পক্ষে উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়। সঙ্গে হার্টকে সুরক্ষিত রাখে। হার্টের বিভিন্ন অসুখবিসুক প্রতিরোধ করে।
অনেক অসুখের উৎস ক্রনিক ইনফ্লেমেশন। পেঁপেতে থাকা উচ্চমাত্রার ক্য়ারোটিনয়েড ইনফ্লেমেশন কমায়। পেঁপেতে থাকা উৎসেচক পাপাইন প্রোটিন হজম করতে সাহায্য় করে। ইরিটেবল বাওয়ের সিনড্রোম ও কোষ্ঠকাঠিন্য়ের জন্য় পেঁপে খুব উপকারী। পেঁট ফাঁপাতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয় পেঁপে। এর বীজ, পাতা ও মূল, আলসারের ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। পেঁপেতে থাকা লাইকোপিন ও ভিটামিন-সি ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। সূর্যের রশ্মি থেকে হওয়া সানবার্ন রিঙ্কেল ও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতে কাজ করে পেঁপে। মিষ্টি এই ফলটি চাইলে কেটে খেতে পারেন। চাইলে স্য়ালাড বা স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।