সংক্ষিপ্ত

এবার ১৮ অগাস্ট বুধবার ঝুলনযাত্রা শুরু হচ্ছে। আর শেষ হচ্ছে ২১ অগাস্ট। এই পবিত্র তিথিতে বাড়িতে নানারকমের শুভকাজ করা যায়। 

শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের কাছে ঝুলনযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। শ্রাবণ মাসের অমাবস্যার পরের একাদশী থেকে শুরু হয় শ্রাবণী পূর্ণিমা। তখনই এই ঝুলনযাত্রা হয়। ঝুলনের আরেক অর্থ দোলনা। ওইদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য দোলনা সাজানো হয়। আর সেই দোলনায় বসিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে দোল দেওয়া হয়। এছাড়া ভক্তিমূলক গান, নাচের আয়োজন করা হয় এই দিন। বৃন্দাবন, মথুরা আর নবদ্বীপের ইসকন মন্দিরে এই উৎসব মহাসমারোহে পালন করা।

এবার ১৮ অগাস্ট বুধবার ঝুলনযাত্রা শুরু হচ্ছে। আর শেষ হচ্ছে ২১ অগাস্ট। এই পবিত্র তিথিতে বাড়িতে নানারকমের শুভকাজ করা যায়। ঝুলনযাত্রার দিন শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিল বলে অনুমান করা হয়। তাই এই দিন বাড়িতে বিশেষ কিছু কাজের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। তার ফলে আপনার মনের ইচ্ছেও পূর্ণ হবে।

ঝুলনের সময় কোন কাজগুলি করবেন দেখে নিন... 

ঝুলনযাত্রার দিন সকালে গঙ্গাস্নান করুন, তাহলে অনেক পূণ্যলাভ করবেন

ওইদিন রাধাকৃষ্ণকে পুজো করুন। ফল ও ফুল দিয়ে পুজো করুন। দেখবেন এতে উপকার পাবেন। 

ওইদিন শ্রীকৃষ্ণের কোনও মন্দিরে মুকুট দান করুন। এছাড়া, ঝুলন উৎসবের তিনটে দিন গীতাপাঠ করুন। দেখবেন এতে মনও যেমন ভালো থাকবে। ঠিক তেমনই কোনও বাধা থাকলে তা থেকেও মুক্তি পাবেন।

শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম পীতাম্বরধারী। ঝুলনযাত্রার দিন শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরান। এছাড়া ওই দিন হলুদ মিষ্টি, হলুদ রঙের ফল ও ফুল দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করুন। এতে ফল পাবেন।

ঠাকুরের আসনে নতুন চন্দনকাঠ কিনে এনে রাখুন। এতে বাড়িতে শুভশক্তি প্রবেশ করে। এছাড়া এই দিন বাড়িতে বীণা কিনে আনুন, এতে গৃহের কল্যাণ হবে। 

রাস্তায় অনেক ময়ূরের পালক পাওয়া যায়, ওইদিন পালক কিনে আনুন, তারপর সেটি ঠাকুরের পাশে রেখে দিন। দেখবেন সুখবর আসবেই।