সংক্ষিপ্ত
খ্রিস্টানদের উৎসব হলে, এখন সকলেই উপভোগ করেন এই উৎসব। কিন্তু, গাছ সাজাতে আচার (Pickle) লাগিয়েছেন কি? সযত্নে গাছের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন তো আচার (Christmas Pickle)?
জোড় কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শহরের প্রতিটি চার্চ সাজানো ইতিমধ্যে শেষ। সাজানো হয়ে গিয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। শুধু চার্চে নয়, বাড়ির ক্রিসমাস ট্রি-গুলো (Christmas Tress) সাজানোর কাজও অধিকাংশ শেষ করে ফেলেছেন। আর যাদের হয়নি, তারা শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত। বড়দিনের উৎসবে ক্রিসমাস ট্রি বা এক্সমাস ট্রি (Xmas Tree) সকলের নজর কাড়ে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই গাছ দেখতে যত সুন্দর হবে, আগামী বছর তত ভালো যাবে। এই কারণে সুন্দর করে ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে ক্রিসমাস বল, ক্রিসমাস বেল, রিবন, ক্যান্ডি, মোজা সবই কিনে এনেছেন। এগুলো হয়তো লাগানো হয়ে গিয়েছে গাছে। মূলত এটা খ্রিস্টানদের উৎসব হলে, এখন সকলেই উপভোগ করেন এই উৎসব। কিন্তু, গাছ সাজাতে আচার (Pickle) লাগিয়েছেন কি? সযত্নে গাছের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন তো আচার (Christmas Pickle)?
শসার আকৃতির মোড়কের মধ্যে আচার ঢেলে, তা সুন্দর করে লুকিয়ে রাখার একটি রীতি আছে। এই রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরে। বড়দিনের উৎসবের শেষে বাচ্চারা এই আচার (Christmas Pickle) খোঁজে। এই রীতির পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। মূলত আমেরিকার এটি একটি ঐতিহ্যশালী রীতি। উৎসব শেষে গাছে লাগানো আচার খোঁজের বাচ্চার। আর যে আচার (Christmas Pickle) খুঁজে পান, তাকে উপহার দেওয়া হয়। মূলত, আনন্দ করার এটি আরও একটি মাধ্যম। বাচ্চারা এই আচার খোঁজার মধ্যে দিয়ে উৎসব উপভোগ করে। তাই বড়দিনের উৎসব উপভোগ করতে এই আচার লাগাতে ভুলবেন না।
ক্রিসমাস ট্রি-র (Christmas Tree) সামনে নানা রকম উপহার রাখা হয়। গাছে ঝোলানো হয় একাধিক চকোলেট। আলো দিয়ে সাজানো হয় গাছ। এই রীতি মূলত খ্রিস্টানদের। যীশুর জন্মদিন পালনে তারা ফার গাছ সাজান, চারিদিকে আলোকিত করে তোলেন। প্রাচীন কালে শীতপ্রধান দেশগুলোতে পাইন ও দেবদারু গাছগুলোকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হত। সেই থেকে বড়দিনের উৎসব (Festival) পালনের জন্য এই গাছগুলোকে সাজানো হত। ধীরে ধীরে বদলেছে এই গাছের সাজসজ্জা। দিনটির আনন্দ দু গুণ করতেই উপহার দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে। সেই থেকে এসেছে আচার ঝোলানোর রীতি। এছাড়াও, ক্রিসমাস নিয়ে নানা রকম কাহিনি রয়েছে। কাহিনি রয়েছে সান্তার পোশাক (Dress) নিয়ে, সান্তা ক্লজের মোজায় উপহার দেওয়া নিয়ে। তবে, এগুলো কোনওটাই কোনও পুস্তকে বর্ণিত নেই। তবে, লোক মুখে প্রচলিত আছে এই সকল কাহিনি।