সংক্ষিপ্ত

শিবাজী মহারাজই (Chhatrapati Shivaji Maharaj) প্রথম ব্যক্তি যিনি তার মারাঠা বাহিনীর মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল প্রবর্তন করেছিলেন। মায়ালস কোঙ্কন এবং দেশ অঞ্চলের মারাঠা প্রধানদের একত্রিত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

চারিদিকে আলোর রোশনাই, রঙের ছটা- কারণ পালিত হচ্ছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী। মারাঠা সম্প্রদায়ের আজ এক বিশেষ উৎসব। ১৯ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী (Chhatrapati Shivaji Maharaj Jayanti)। এবছর মহারাজের ৩৯২ তম জন্মদিন উদযাপন হচ্ছে। শিবাজি ছিলেন একজন মারাঠা যোদ্ধা ও মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৬৩০ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি পুনের শিবনেরি দুর্গে জন্মগ্রহণ করেন। সেই কারণে এই দিনটি পালিত হয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী হিসেবে।

ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ (Chhatrapati Shivaji) ছিলেন ভারতের অন্যতম সাহসী, প্রগতিশীল এবং বিচক্ষণ শাসক। তিনি মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তার সাহসিকতা ও কৌশলের জন্য পরিচিত ছিলেন। এই সাহস ও কৌশল তাকে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করেছিল। তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি ইতিহাসের প্রতিটি  পাতায় বর্ণিত আছে। 

শিবাজী মহারাজই প্রথম ব্যক্তি যিনি তার মারাঠা বাহিনীর মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল প্রবর্তন করেছিলেন। মায়ালস কোঙ্কন এবং দেশ অঞ্চলের মারাঠা প্রধানদের একত্রিত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শিবাজী মহারাজ (Chhatrapati Shivaji) তাঁর সময়ের ভাষা ফার্সিকে বাদ দিয়ে আদালত ও প্রশাসনে মারাঠি ও সংস্কৃতের মতো আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারকরে প্রচার  করেছিলেন। তাঁর অবদানের কথা বর্ণিত আছে ইতিহাসের প্রতিটি পাতায়। 

আজ মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহান যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ৩৯২ তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালিত হয় মহারাষ্ট্রে। এদিন আয়োজিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। তবে, এই বছর কোভিড বিধি (Covid Rules) মেনে পালিত হচ্ছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী। নিয়ম অনুসারে এবছর, ২০০ জন শিবজ্যোতি দৌড়ে অংশ নিতে পারবেন এবং ৫০০ জন শিবজয়ন্তী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। সামাজিক দূরত্ব পালন করে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের মূর্তি ও ছবিতে মালা অর্পণ করা হবে। করোনার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। গত দু বছর ধরে করোনার প্রকোপের জন্য প্রায় বন্ধের মুখে ছিল সকল সামাজিক অনুষ্ঠান। বর্তমানে করনোরা প্রকোপ কমলেও, পুরোপুরি দেশ থেকে বিদায় নেয়নি এই ভাইরাস। সে কারণে, সকলকেই মেনে চলতে হচ্ছে করোনা বিধি। নিজেদের সুস্বাস্থ্যর কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব মেনে পালিত হচ্ছে উৎসব (Festival)। কারণ, এক মাত্র এই সামাজিক দূরত্বই করোনা সংক্রমণ রোধ করতে পারে।   

আরও পড়ুন: এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি, জেনে নিন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া কি

আরও পড়ুন: বিশ্বের ১০ টি ব্যয়বহুল ফুড আইটেম, যেগুলি শুধুমাত্র কোটিপতিরাই কিনতে পারেন

আরও পড়ুন: কোভিড বিধি মেনেই ফের খুলছে বেলুড় মঠ, ঘোষণা মঠ কর্তৃপক্ষের