সংক্ষিপ্ত
অন্যান্য বছর এইদিনে প্রায় ১০ হাজার যুব ও ছাত্রছাত্রী বেলুড় মঠে জমায়েত হয়। তবে এবার তা কোনটাই হয়নি।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম জন্মদিন (Swami Vivekananda birth anniversary) ও ৩৭তম জাতীয় যুব দিবস পালন করা হচ্ছে বেলুড় মঠে (Belur Math)। একই সঙ্গে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান (75th Independence Day celebrations) আজাদী কি অমৃত মহোৎসবের (Azadi Ki Amrita Mahotsav) ভার্চুয়ালি দিল্লি থেকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। যদিও সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি মাধ্যমে হচ্ছে। মঠের ভিতরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখা হয়েছে।
করোনা আবহে বন্ধ রাখা হয়েছে বেলুড় মঠও। বুধবার ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মোৎসব পালন করা হচ্ছে বেলুড় মঠে। এই বছরে ৩৭তম যুব উৎসব পালিত হচ্ছে বেলুড় মঠে। অন্যান্য বছর এইদিনে প্রায় ১০ হাজার যুব ও ছাত্রছাত্রী বেলুড় মঠে জমায়েত হয়। তবে এবার তা কোনটাই হয়নি। বিবেকানন্দ সভাগৃহে মঠের সন্ন্যাসী ও আবাসিকদের উপস্থিতিতে পালিত হয় অনুষ্ঠান। তবে সর্ব সাধারণের জন্য ভার্চুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হয় অনুষ্ঠান। বেলুড় মঠের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল মারফৎ এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
করোনা পরিস্থিতির জন্য ইতিমধ্যেই মঠ বন্ধ করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বেলুড় মঠে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ থাকছে বলেই মঠ কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছেন। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেখানে প্রতি বছর প্রায় হাজার দশেক পড়ুয়া অংশ নেন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মৎসবের অনুষ্ঠানে। মঠের মূল মন্দির সংলগ্ন মাঠে মঞ্চ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারা দিন ধরে সেখানে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু এ বার সেই অনুষ্ঠানের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।
এই বছর বিদ্যামন্দিরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে জাতীয় যুব দিবসের ওই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সারদাপীঠ। সেখানেও সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের তরফে জানানো হয়েছে, মিশনেরই বিদ্যামন্দির, শিক্ষনমন্দির, শিল্প বিদ্যালয়, শিক্ষামন্দির, জনশিক্ষা মন্দির থেকে নির্দিষ্ট কয়েক জন পড়ুয়াকে নিয়ে এসে সভাগৃহে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করানো হয়।
দূরত্ব-বিধি মেনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বলে বেলুড় মঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে যুব সম্প্রদায়কে সম্বোধন করে বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বামী বলভদ্রানন্দ। এ ছাড়াও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, গান, বক্তৃতা, আবৃত্তি, ধর্মীয় সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক পরিবেশিত হয়।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হয় ওই অনুষ্ঠান। যা সরাসরি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড় মঠ’ এবং ‘সারদাপীঠ, রামকৃষ্ণ মিশন’ এই দু’টি ইউটিউব চ্যানেলে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছিল www.belurmath.org এবং www.saradapith.org —এই দু’টি ওয়েবসাইটেও।
উল্লেখ্য, লকডাউনের সময় থেকেই বেলুড় মঠ সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাঝে কয়েকদিনের জন্য খোলা হলেও ফের দোসরা জানুয়ারি থেকে বেলুড় মঠে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ। সূত্রের খবর, আগামী ২৬শে জানুয়ারি পর্যন্ত বেলুড় মঠে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আগামী ২০ জানুয়ারি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন মঠ কর্তৃপক্ষ।