সংক্ষিপ্ত
বাজি পোড়াতে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাঁদের কাছে দীপাবলি কাটানোর অনেক রকম উপায় রয়েছে।
কালীপুজো মানেই প্রদীপের সজ্জা, আলোর রোশনাই আর বাজির শব্দ। এই একটা দিন ছোট-বড় সকলেই সকল দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। মা কালী যেমন পুজিত হন বাঙালি ঘরে, তেমনই অবাঙালি পরিবারগুলিতে পালিত হয় দিওয়ালি। সেখানে পুজিত হন ধনদেবী। বৃহস্পতিবার দীপাবলির (Diwali) উৎসবে মেতে আছে গোটা দেশ (Nation)। সারা দেশ আলোকে আলোকিত (Festival)। দীপাবলির প্রধান অঙ্গ বাজি। এই বাজি পোড়ানো না থাকলে অনেকের কাছেই কালীপুজো ফিকে হয়ে যায়।
কিন্তু বাজি পোড়াতে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাঁদের কাছে দীপাবলি কাটানোর অনেক রকম উপায় রয়েছে। বহু বাঙালি পরিবারও এই দিন লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। সকলেই প্রস্তুতি নিয়েছেন সতর্কতা মেনে। দীপাবলিতে আপনার আনন্দ হয়ে উঠতে পারে অন্যের জন্য অস্বস্তির কারণ। উৎসব সবার, কাজেই একজনের উৎসবের উৎসাহ যেন অন্যের আনন্দে ব্যাঘাত না ঘটায়। এই চিন্তা থেকেই হাইকোর্ট বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
উৎসবে আত্মীয়-পরিজন কাছের মানুষদের গিফট দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। হাতে হাতে না দিতে চান অনলাইন প্লাটফর্ম তো রয়েছে। প্রয়োজনমতো জিনিস কিনে অনলাইন মারফত পাঠিয়ে দিতে পারেন প্রিয়জনের কাছে।
এই দিওয়ালি কাটাতে পারেন কোনো রেস্তোরাঁয়। প্রায় সব রেস্তোরাঁতেই কমবেশি দিওয়ালি স্পেশাল মেনু থাকবে। কাজেই এই দিওয়ালি বাজি ছাড়াও স্পেশাল করে তোলা যায়।
পছন্দের মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কাছে পিঠে কোথাও থেকে। প্রতিমা দর্শন থেকে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, সবই চলতে পারে দিওয়ালিতে। হালকা গান, সাথে লং ড্রাইভ। এবারের দিওয়ালি জমে যাবে এভাবেই।
প্রদীপের পাশাপাশি ফুল দিয়েও সাজিয়ে তুলতে পারেন বাড়ি। সুগন্ধি ফুলের গন্ধে ভরে উঠবে আপনার বাড়ি। আর ফুলের সৌন্দর্য ভরিয়ে তুলবে মন। এবার ফুলের সাজ বাজেটেও ঠিক থাকবে।
বাজির ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ ঘটায়। বিশেষত করোনা রোগীরা এই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে তাদের শরীরে আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর তুলনায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই দীপাবলি প্রদীপের আলোয় চারিদিক আলোকিত করে তুলতে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই এবার দীপাবলিতে বাজি নয়, প্রদীপের আলোয় আলোকিত করে তুলুন চারপাশ।
এদিকে কালীপুজোয় (Kali Puja) শহরে শব্দবাজির (Firecracker) তাণ্ডব রুখতে হেল্পলাইন নম্বর (Helpline Number) প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এবার বাজি ফাটানো নিয়ে অত্যন্ত কড়া প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবার কালীপুজোতে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই পোড়ানো যাবে। তাছাড়া আর কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না। আর বাজি পরিবেশ বান্ধব কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। সেই নির্দেশ মেনেই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দেষ্ট সময়ও (Time) বেঁধে দেওয়া হয়েছে।