সংক্ষিপ্ত

প্রতি মাসে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন মাত্র ১০০০ টাকা। ২৬ বছর পর আপনি হতে পারেন কোটি টাকার মালিক। বাজারের রিটর্নের ওপর এই স্কিমটি নির্ভরশীল, তাই একটু ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। তবুও সব কিছুর উর্ধ্বে মিউচুয়াল ফান্ড হয়ে উঠেছে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা মাধ্যম। 

বর্তমানে টাকা বিনিয়গের(Investment) জন্য এসে গেছে নিত্য নতুন উন্নতমানের পদ্ধতি। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পুরনো প্রথা কিন্তু আজও বেশ জনপ্রিয়। এই মিউচুয়াল ফান্ডে(Mutual Fund) টাকা জমানোর সঙ্গে একটা কথা কিন্তু বিশেষভাবে প্রচিলত, সেটি হল মিউচুয়াল ফান্ডস আর সাবজেক্টেড টু মার্কেট রিক্স।  অর্থাৎ মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন বাজারের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত(Return Depends On Market Demand)। বাজারের সাময়িক পরিস্থিতি যেমন, মিউচুয়াল ফান্ড(Mutual Fund) থেকে ঠিক সেই রকমই রিটার্ন (Return)পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। বাজেরের পরিস্থিতি ভালো থাকলে মঙ্গল, যথেষ্ঠ ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু যদি পরিস্থিতি সেই অর্থে ভাল না থাকে তাহলে রিটার্নও সেই রকম ভাবে পাওয়া যায় না। এদিকে প্রতিনিয়তই ব্যাঙ্কের সুদের হার ক্রমশ কমছে। বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ যাদের সুদের টাকাই একমাত্র ভরসা। দিনে দিনে যদি সুদ কমে যায় তাহলে খরচ চালানোও দায় হয়ে যায়। তাই বর্তমানে ব্যাঙ্কের সুদের হারের পরিস্থিতি দেখে অনেকেই সঞ্চয়ের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পথ অবলম্বন করেছেন। প্রত্যেকেরই ভবিষ্যেতের জন্য তো সঞ্চয়ের প্রয়োজন আর সেই সঞ্চয় থেকে সুদের পরিমানটাও ঠিকঠাক হওয়া দরকার। তাই ভালো সুদ পাওয়ার আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ মিউচুয়াল ফান্ড(Mutual Fund)। 

ট্যাক্স এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপার্টদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে মিউচুয়াল ফান্ড সব সময়ই অতিরিক্ত বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে থাকে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, টাকার রিটার্নও বেশ অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঝুঁকির পরিমাণও অনেকটা কেটে যায়। তাই মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যায় আপনার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত। আপনি যদি এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিনিয়োগের কথা ভাবেন তাহলে মাসে মাত্র ১০০০ টাকা দিয়েই এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। মাসিক ১০০০ টাকা বিনিয়োগ মানে বার্ষিক ১২ হাজার টাকা। প্রতি মাসে এই  ১০০০ টাকার উপর বার্ষিক রিটার্নের পরিমাণ ১২ শতাংশ। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, বিনিয়োগ যদি অতি-দীর্ঘমেয়াদী হয় তবে সেই ক্ষেত্রে  রিটার্নের পরিমাণহতে পারে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। এই পরিমাণ রিটার্ন যদি পাওয়া যায়, তবে ৩৪ বছরের পর এই ১০০০ টাকাই পরিণত হতে পারে ১ কোটি টাকায় ।

আরও পড়ুন-Investment Plan-১২ শতাংশ ক্লাবে বিনিয়োগ ও লোন পাওয়ার সুযোগ, ১২ শতাংশ হারে সুদ পাবে বিনিয়োগকারী

আরও পড়ুন-Investment Plan: সহজেই প্রতি মাসে মিলবে ৯ লক্ষ টাকা পেনশন, শুধু করতে হবে এই কাজটি

উল্লেখ্য, রিটার্নের হারের উপর  নির্ভর করে কত বছরে ওই টাকাটা পাওয়া যাবে তা। সাধারণভাবে যদি ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কোটি টাকার মালিক হওয়াটা বেশ খানিকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু যদি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই কোটি টাকার যে নির্ধারিত লক্ষ্য সেটায় পৌঁছে যাবেন। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৬ বছর। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন বিজ্ঞপনও মন কেড়েছে মানুষের। যেহেতু বাজারের রিটর্নের ওপর এই স্কিমটি নির্ভরশীল তাই একটু ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। তবুও সব কিছুর উর্ধ্বে মিউচুয়াল ফান্ড হয়ে উঠেছে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা মাধ্যম।