সংক্ষিপ্ত

  • ৩ অগাষ্ট ২০২০ সোমবার ঐতিহ্যবাহী উৎসব রাখি পূর্মিমা
  • আদিবাসী শিল্পীরা নিজেদে হাতে তৈরি  নকশা করারাখি তৈরি করছেন 
  • রাখি সাধারণের কাছে স্বদেশি রাখি বা ঝাড়খন্ডী রাখি হিসেবে পরিচিত
  • লকডাউন শুরুর সময় থেকেই নকশার কাজ করা শুরু করেছিলেন 

৩ অগাষ্ট ২০২০ সোমবার ঐতিহ্যবাহী উৎসব রাখি পূর্মিমা। আর এই উৎসব উপলক্ষে জামশেদপুরের ঝাড়খন্ডের কলামন্দিরের আদিবাসী শিল্পীরা নিজেদে হাতে তৈরি  নকশা করারাখি তৈরি করছেন উৎসবের জন্য। এএনআই কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কালামন্দিরের আহ্বায়ক অমিতাভ ঘোষ বলেছেন, রাখিতে ঐতিহ্যের ছোঁয়া থাকার পাশাপাশি ভাল মানের হওয়া দরকার। একইসঙ্গে চিনা পণ্যের মত সস্তা ও সহজলভ্য হওয়াও প্রয়োজন।

ঝাড়খন্ডের তৈরি এই ঐতিহ্যবাহী রাখি সাধারণের কাছে স্বদেশি রাখি বা ঝাড়খন্ডী রাখি হিসেবে পরিচিত। অমিতাভ ঘোষ বলেছেন, "আমরা যদি সস্তায় উন্নতমানের রাখি বাজারে সরবরাহ করতে পারি তবেই মানুষের নজর চিনা রাখি থেকে সরে এই রাখিগুলোর উপর এসে পড়বে। তবে বিক্রতারা কতটা এগুলি বিক্রি করতে সহায়তা করবেন তার উপর নির্ভর করছে।"

কলামন্দিরে রাখি প্রস্তুতকারী শিল্পীরা করোনার জন্য হওয়া লকডাউন শুরুর সময় থেকেই ফেস মাস্ক, রাখি প্রচলিত রীতি এবং উপকরণ ব্যবহার করে নকশার কাজ করা শুরু করেছিলেন। কলামন্দিরের একজন শিল্পী জানিয়েছেন, এই রাখি তৈরিতে আমরা যতটা সম্ভব কম প্লাস্টিক ব্যবহার করা চেষ্টা করছি এবং রাখিতে ঐতিহ্যবাহী ছোঁয়া রাখতেই নকশায় স্থানীয় নিদর্শনগুলি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

আমরা এটি কাজগুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার করছি, এবং এখনও পর্যন্ত তার বেশ ভাল প্রতিক্রিয়াও মিলেছে। এখন পর্যন্ত তাঁরা মোট ১১,০০০ এরও বেশি রাখি তৈরি করে ফেলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনা দ্রব্য বয়কটের আবহে গ্রাহকেরাও সামান্য বেশি মূল্য দিয়ে সস্তা  চিনা পণ্যের বদলে স্বদেশী দ্রব্য কিনতে প্রস্তুত, এমনটাই মত একদল ক্রেতার। ফলে বাজারে এখন থেকেই নজর কাড়তে শুরু করেছে রাখির দেশীয় নকশা।