সংক্ষিপ্ত
বাসমতি চাল ও প্লাস্টিক চাল সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনি ঘরে বসে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি করে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেন। এই প্রতারণা এড়াতে চালের কিছু নমুনা নিন এবং একটি পাত্রে রাখুন।
বর্তমানে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে এর অপব্যবহারও হচ্ছে। এর ব্যবহারের কারণে খাদ্যশস্যে ভেজালের পরিমাণও বেড়েছে। আজ প্লাস্টিকের এই চালে ভেজাল ও বিক্রি হচ্ছে, যা উদ্বেগের বিষয়। দেশ ও বিশ্বে ভারতীয় বাসমতি চালের ব্যবহার বাড়ছে। এই ভোগ মেটাতে অনেকেই নকল প্লাস্টিকের চাল বিক্রি করছেন। এই প্লাস্টিকের চাল, হাতে ধরলে, আসল বাসমতি চালের মতো দেখায়। কিন্তু এই ভাত খেলে অনেক রোগ হয়।
এজন্য বাসমতি চাল ও প্লাস্টিক চাল সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনি ঘরে বসে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি করে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেন। এই প্রতারণা এড়াতে চালের কিছু নমুনা নিন এবং একটি পাত্রে রাখুন।
এর পরে লেবু এবং জল মিশিয়ে একটি সমাধান তৈরি করুন। এবার এই দ্রবণে চাল ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর যদি চালের রং বদলে যায় বা রং নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন চাল নকল।
প্লাস্টিকের চাল এবং আসল বাসমতি চালের মধ্যে পার্থক্য
এক গ্লাস জলে এক চামচ কাঁচা চাল মিশিয়ে গুলে নিন।
চাল যদি জলে ভাসে তাহলে বুঝবেন এটা নকল চাল, কারণ আসল চাল বা দানা জলে ফেললেই ডুবে যায়।
একটি চামচে কিছু চাল নিয়ে জ্বাল দিন। চাল পোড়ানোর সময় যদি পোড়া প্লাস্টিকের মতো গন্ধ হয় তাহলে বুঝবেন চাল নকল।
গরম তেলে লাগিয়ে নকল চালও শনাক্ত করতে পারবেন। এজন্য খুব গরম তেলে কিছু চালের দানা দিন। এরপর যদি চালের আকার পরিবর্তন হয় তবে সাবধান।
আসল বাসমতি এবং নকল বাসমতি রান্না করেও আলাদা করা যায়। এ জন্য কিছু চাল সিদ্ধ করে একটি বোতলে ৩ দিন রাখুন। চাল শুকিয়ে গেলে চাল আসল, কারণ নকল চাল শুকনো পাওয়া যায় না।